বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর আত্ম বলিদান দিবস পালন ছেঁন্দা পাথরে ।
শুভদীপ ঋজু মন্ডল :—জঙ্গলমহলের রানীবাঁধ ব্লকের ছ্যাঁদা পাথর গ্রামে রানীবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৭ তম আত্ম বলিদান দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল ক্ষুদিরাম বসুর আত্মগোপনের কেন্দ্র বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের ছেঁন্দাপাথর গ্রামে। আজ ১১ই আগস্ট সোমবার বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভীম সেন মন্ডল এই উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী তারাশঙ্কর রায়। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ বিশিষ্ট সমাজসেবী চিত্ত মাহাতো বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য বিভবতি টুডু বারিকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও বারিকূল থানার আইসি, ছেদা পাথর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এদিন এই শহীদ দিবসে ক্ষুদিরাম বসু উদ্যানে রক্তদান শিবিরে ২৮ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। অনুষ্ঠানে তারাশঙ্কর রায় ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী ও কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশদ বক্তব্য রাখেন আজকের দিনে এই সমস্ত বীর শহীদদের স্মরণ করতে ভুলে যাচ্ছে বর্তমান ছাত্র সমাজ তারা মোবাইলে ব্যস্ত থাকছে। আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে ভারতের মনীষীদের কথা ছাত্রছাত্রী সহ নিজের সন্তানদের কাছে তুলে ধরতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভীম সেন মন্ডল বলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে কম বয়সে যার ফাঁসি হয়েছিল তিনি হলেন আমাদের সকলের আদরের ও শ্রদ্ধার ক্ষুদিরাম বসু। তার আদর্শ চিন্তা ভাবনা বর্তমান যুবসমাজ ভুলে যেতে বসেছে। আমাদের মনীষীদের জীবনী গুলো আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে ভারতীয় সংস্কৃতি পরম্পরা আমরা হারিয়ে ফেলতে চলেছি।