মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
রাজ্য রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই ‘ভাইপো’ উপমায় ‘গুন্ডা – মাফিয়া’ উপাধিতে সরগরম জোড়াফুল বনাম পদ্মফুল শিবির। শাসকদল তৃনমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন বিরোধীদল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মহাশয়। তিনদিনের সময়সীমা সেখানে দেওয়া হয়েছে। তা না হলে মানহানি মামলার হুশিয়ারী রয়েছে আইনী নোটিশের মধ্যে। মামলা হবে কিনা তা চলতি সপ্তাহে পরিস্কার হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে শাসক বনাম বিরোধী নয়, খোদ শাসকদলের অন্দরে তৈরি হয়েছে আরেক মানহানি – দেওয়ানি মামলা করার মত পরিস্থিতি। তাও বিধায়ক বনাম মন্ত্রী কন্যা! উত্তর কলকাতায় বরাবরই রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডের সাথে বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের ‘সাপেনেউলে’ লড়াই সর্বজনবিদিত। বিধায়ক পরেশ পালের উদ্যোগে কাঁকুড়গাছিতে ইলিশ উৎসব হলে সেখানে যেমন দেখা মিলেনা ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীর। ঠিক তেমনি আবার বাগমারি, উল্টোডাঙ্গার বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে ব্রাত পরেশ পাল। দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে এলাকায় কর্তত্বের লড়াই সর্বদা লেগেই থাকে। সম্প্রতি এক বিজয়া সম্মেলনীতে বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল কে উদ্দেশ্য করে নানান মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে মহাশয়। এই মন্তব্য পরবর্তীতে বিধায়ক পরেশ পাল মন্ত্রী কন্যা শ্রেয়া পান্ডে কে নিয়ে বেশকিছু মন্তব্য করেছিলেন। বিশেষত মন্ত্রী কন্যা কে ইডির তলব নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন পরেশ পাল। তড়িঘড়ি মন্ত্রী কন্যা শ্রেয়া পান্ডে গত ২৭ নভেম্বর আইনজীবী সুদীপ্ত পান্ডা মারফত বিধায়ক পরেশ পাল কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। পরেশ পালের তিনটি ঠিকানায় সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ টি পাঠানো হয়েছিল। অপমানজর কুমন্তব্যর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা চেয়ে এই লিগ্যাল নোটিশ টি পাঠানো হয়েছিল।তা না হলে মানহানি – দেওয়ানি মামলার হুশিয়ারী দেওয়া রয়েছে উক্ত নোটিশে। তবে এতে কোন প্রত্যুত্তরে এখনও কিছু পাঠাননি বিধায়ক পরেশ পাল মহাশয়।শনিবারই সাতদিনের সময়সীমার শেষ দিন। এখন দেখার আদৌও আদালত অবধি বিষয়টি গড়ায় কিনা? যদিও মন্ত্রী কন্যা শ্রেয়া পান্ডের আইনজীবী সুদীপ্ত পান্ডা জানিয়েছেন – ” শুক্রবার অবধি আমরা কোন লিগ্যাল নোটিশ পরিপেক্ষিতে উত্তর পাইনি”। তবে বেলেঘাটার পরেশ পাল ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন – ‘ মামলা দাখিল হলে বিচলিত নই’।