খায়রুল আনাম,
বীরভূম : বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের শ্রীনিকেতন কিষাণ মাণ্ডিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষিরা হামেশাই হয়রানির কবলে পড়ছেন। এমন অভিযোগ কমবেশি অনেক কিষাণ মাণ্ডির বিরুদ্ধেই উউছে। ধান ওজন করা এবং ধান বস্তা থেকে ঢেলে দেওয়ার পরে কুনণ্টাল প্রতি বা ৬০ কেজি বস্তা পিছু ধলতা হিসেবে ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। অথচ ধান ওজন করা ও বস্তা থেকে ঢালার আগে ধানের মান যাচাই করা হচ্ছে না। এ নিয়ে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের কিষাণ মাণ্ডিতে এমনই গণ্ডগোল বাধে যাতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি আধিকারিকদের পর্যন্ত যেতে হয়। সরকারিভাবে বলাও হয়েছে যে, কিষাণ মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে গেলে চাষিদের কুইণ্টাল প্রতি ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। কিন্তু তাও মিলছে না বলে অভিযোগ। অথচ এসব বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না, উঠছে সেই প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন যে, সরকারি এক শ্রেণির আমলা ও রাইস মিল মালিকদের যোগসাজসে এটা ঘটছে। কেননা, সরকারের ঘরে ধান সঠিক পরিমাণে না গেলে সরকারি খাতে চাল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটবে। তখন সরকারকে তাদের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রাখার প্রয়োজনে রাইস মিল মালিকদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে চাল কিনতে হবে। এতে রাইস মিল মালিকরা অধিক মুনাফা লুঠতে পারবেন। অতীতে এমনটা ঘটেছে। কিন্তু সরকার কেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারছে না? সেই প্রশ্নই এখন জোরালো হয়েছে।