খায়রুল আনাম,
বীরভূম : বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে ফেন্সি ঘোষ (২৩) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন ডেপুটি সিএমওএইচ, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিক, ডিস্ট্রিক্ট পাবলিক হেলথ আধিকারিক ও অন্য হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। জানা যায়, বোলপুরের মুলুক-আদর্শপল্লীর ফেন্সি ঘোষের সঙ্গে ২০২১ সালে বিয়ে হয় লাভপুরের চৌহাট্টা এলাকার নবগ্রামের পুষ্পেন্দু ঘোষের। পুষ্পেন্দু ঘোষ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। স্ত্রীর সন্তান প্রসবের সময় হওয়ায় তিনি স্ত্রীর পাশে থাকতে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। ফেন্সি ঘোষ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তার স্বাভাবিকভাবে সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপরই তার জরায়ুমুখে একটি সেলাইয়ের জন্য ফেন্সিদেবীকে নিয়ে গেলে তার পা কর্ত্তব্যরত নার্সের গায়ে লাগলে, ওই নার্স তাতে বিরক্ত হন এবং ফেন্সির হাত- পা বেঁধে বিনা চিকিৎসায় ঘণ্টা তিনেক ফেলে রাখা হয় বলে ফেন্সি ঘোষের পরিবারের অভিযোগ। আর এরফলে বিনা চিকিৎসায় মারা যান ফেন্সি ঘোষ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি ছড়ায় হাসপাতালে। পরে বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।