বোলপুর শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে এবং হসপিটালে ছাত্রছাত্রীদের অভিনব পদ্ধতিতে পড়ানো হচ্ছে, যা রীতিমতো অভিভাবকদের মন কেড়েছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।
সবকিছুর পরিবর্তন হচ্ছে, আধুনিক ছোঁয়া লেগেছে সব কিছুর মধ্যে, তাই শিক্ষা ব্যবস্থার তার ছোঁয়া লাগবে না এটা কি হতে পারে ?
সেই কথা চিন্তা করে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হসপিটাল এর কর্ণধর মলয় পীট তিনি মেডিকেল কলেজের যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করছেন তাদেরকে অভিনব পদ্ধতিতে ক্লাস নিচ্ছেন যা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্য তথা দেশে।
শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে কোনো ক্লাস শুরু হওয়ার পর তা লাইফ হতে শুরু করে। লাইভ দেখানো হচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবে।
অর্থাৎ শিক্ষা ব্যবস্থার কতটা উন্নতি হয়েছে, শিক্ষকরা কিভাবে পড়াচ্ছেন, ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে পড়াশোনা করছেন, কোন ছাত্রী না এলে বা কোন ছাত্র না এলে তা তাদের অভিভাবকরা দেখতে পাচ্ছেন, পাশাপাশি কোন ছাত্রী যদি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে থাকলে তিনি সরাসরি লাইভ দেখতে পাচ্ছেন ফেসবুক বা ইউটিউবে।
এছাড়াও যারা প্রাক্তন মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন তারাও সরাসরি এই ক্লাস দেখতে পাচ্ছেন লাইভ এ।
কেবলমাত্র বোলপুরের শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে এই ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ থাকবে না এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে ত্রিপুরার শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও।
শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হসপিটাল এর কর্ণধর মলয় পীট জানিয়েছেন,
শিক্ষা ব্যবস্থার কতটা উন্নত সে নিয়ে অভিভাবকরা প্রশ্ন তোলেন ।আমি যে ব্যবস্থায় পড়াশোনা করছি যে কোন অভিভাবক আগে আমাদের লাইফ প্রোগ্রাম দেখে তার ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করতে পারবেন। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের দারুন উপকার হচ্ছে এই সিস্টেমে ক্লাস করালে।
কারণ কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে সে পড়ে তার ক্লাসটি অনলাইনে দেখে নিতে পারবে।
সব মিলিয়ে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় যেমন আমরা খুশি তেমনভাবে অভিভাবক রাও খুশি হয়েছেন ।
বোলপুর থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।