সেখ সামসুদ্দিন ,
একাধারে মারণ ভাইরাস করোনার বাড়বাড়ন্ত কমেনি সেভাবে, অপরদিকে লাগাদার বর্ষণে থইথই রাজ্য।এরেই মধ্যে জলপাইগুড়িতে অজানা জ্বরে ভর্তি শতাধিক। মঙ্গলবার এক ছয় বছরের বাচ্ছার মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি ২০ জন শিশু। সূত্রের খবর, আটজনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। কলকাতার বিশিষ্ট চিকিত্সকরা বলছেন, কোভিডের মধ্যেই ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় চিন্তা বেড়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ডাক্তাররা বলছেন, বড়দের থেকে বাচ্চাদের মধ্যেও জ্বর, সর্দি-কাশি ছড়াচ্ছে। অনেকে পেট ব্যথা, বমি হচ্ছে। জলপাইগুড়িতে বাচ্চাদের মধ্যে ধুম জ্বর ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার লক্ষণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ভাইরাল জ্বর খুব ছোঁয়াচে, তাড়াতাড়ি সংক্রমিত হতে পারে। বাচ্চারা ভাইরাল জ্বরে খুব তাড়াতাড়ি কাবু হয়ে পড়ে। এখন স্কুল বন্ধ হলেও বড়দের থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যেও। সাবধান থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরই এই বর্ষার সময় ইনফ্লু়য়েঞ্জা ভাইরাসের উপদ্রব বাড়ে। এক চিকিৎসক বলছেন, গা গরম, ধুম জ্বর, হাত-পায়ে ব্যথা, দুর্বলতা, অনেক সময় শ্বাসকষ্টও ভোগাচ্ছে। ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। টানা জ্বর, বা হাল্কা শ্বাসের সমস্যা হলে হেলাফেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানা গেছে , কোভিড ও ভাইরাল জ্বরের উপসর্গ মোটামুটি একই। কিছু পার্থক্য আছে। ভাইরাল জ্বর হলে প্রথম দু’এক দিন হালকা থেকে মাঝারি জ্বর থাকে। গা ম্যাজম্যাজ করে। সর্দি-কাশি থাকে অনেকের, নাক দিয়ে জল পড়তে থাকে। সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, পেশীর ব্যথা, খিঁচুনি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়ালে তখন বাড়াবাড়ি হয়। যদি রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাসের সংক্রমণ হয় তাহলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তখন দ্রুত ডাক্তার দেখিয়ে নেওযা ভাল। কারণ বেশি বাড়াবাড়ি হলে অসুখ নিউমোনিয়ার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তাই বাচ্ছাদের প্রতি সর্তকতা ( জল নিয়ে) অবলম্বন করতে হবে বলে জানিয়েছেন কেতুগ্রাম ব্লক মেডিকেল অফিসার ইন চার্জ ডক্টর শিশির কুমার বিশ্বাস।