ভাই ফোঁটা উপলক্ষে মিষ্টির দোকানে ভিড় দক্ষিণ বাঁকুড়া জুড়ে।
সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:-ভাই ফোঁটা মানেই মিষ্টি। গতানুগতিক রসগোল্লা,জিলিপি মিষ্টি দই তো থাকবেই তবে বাংলার এই উৎসব ভাইফোঁটার সময়টাতে মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা বানিয়ে থাকেন স্পেশাল মিষ্টি। সেরকমই বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের একটি জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান তৈরি করেছে ভাইফোঁটা স্পেশাল রকমারি মিষ্টি। মিষ্টিগুলো যেরকম ইউনিক, তাদের নাম গুলো আরও ইউনিক। তার উপর লেখা রয়েছে “ভাইফোঁটা”! প্রস্তুতি চরমে! ভাই ফোটার জন্য নতুন ১০ থেকে ১৫ টি মিষ্টির ভ্যারাইটি। নেই অ্যাসিড এবং কালার বলছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারক ইন্দপুর বাংলার আশীর্বাদ সুইটস এর কর্ণধার তুষার চ্যাটার্জি।
কালাকাঁদ, ক্ষীরমোহন, রসমালাই, রসকদম, কাঁচা গোল্লা, বেকড রসগোল্লা, প্রভৃতি দাম মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়া থাকছে আপেল মিষ্টি। মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার জানিয়েছেন, “চিরাচরিত মিষ্টির থেকে নতুনত্ব মিষ্টির চাহিদা এই বছর ভাইফোঁটাতে বেশি। রসগোল্লা,সন্দেশ এবং দই এর চাহিদা থাকবেই পাশাপাশি অন্যান্য ফ্লেভারের নতুন স্বাদের মিষ্টি মানুষ বেশি পছন্দ করছে। সকলের কথা ভেবে দাম রাখা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা করে।”
অন্যদিকে দক্ষিণ বাঁকুড়ার রাইপুর সবুজ বাজারের প্রসিদ্ধ মিষ্টি দোকান ভাগ্যলক্ষ্মী সুইটস এর কর্ণধার সঞ্জয় নাদ বলেন প্রতিবছরই মিষ্টির চাহিদা থাকে তুঙ্গে । আমাদের দোকানে পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ রকমের মিষ্টি পাওয়া যায়। নতুন মিষ্টির আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের দোকান থেকে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে যাতাযাতকারী বহু মানুষ মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।তবে এবছর ভাইফোঁটা আগামীকাল কিন্তু আজ থেকেই মিষ্টি কেনার চাহিদা তুঙ্গে। ভাতৃদ্বিতীয়া যদিও আজ সন্ধ্যা থেকে পড়ছে তাহলেও মূল অনুষ্ঠান হবে আগামী কাল সকাল থেকে আগামীকালের ভিড় এড়াতে মানুষ আজ থেকেই মিষ্টি কিনে নিতে চাইছেন।ভাই ফোঁটার আগের দিন দোকানের ভিড় বেশ চোখে পড়ার মত। সাজানো রয়েছে একের পর এক লোভনীয় মিষ্টি। আগামীকালের ভিড়ের কথা ভেবে আগে থেকেই মিষ্টি কিনে ঘরে মজুত করে রেখে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আবার কেউ কেউ একলা এসে চেখে দেখছেন নতুন মিষ্টি গুলি। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের নামো বাংলা বাসস্ট্যান্ডের নিকটে রয়েছে আশীর্বাদ সুইটস্। দোকানের কর্ণধার তুষার চ্যাটার্জী বলেন, ভাইফোঁটা উপলক্ষে সূদূর পুরুলিয়ার মানবাজার, বরাবাজার, জঙ্গলমহল এবং বাঁকুড়া থেকে মানুষ আসছেন ভাইফোঁটার মিষ্টি কিনতে। বাঙালির কাছে ভাইফোঁটার এই দিনটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়। ভাই বা দাদার কপালে ফোঁটা দেওয়ার পর শুরু হয় ভোজন পর্ব সেখানে থাকে মাংস, মাছ, মিষ্টি, দই, চাটনি, পাঁপড় পায়েস সহ নানান পদ সেই কারণেই ছুটির দিনটি আনন্দে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে আগের দিনই কেনাকাটার কাজটি করে রেখে দিচ্ছেন এলাকার মানুষজন। যদিও সবজি বাজার আগুন ফুলকপি ১২০ টাকা কেজি। পটল ৫০, শসা ৫০, ঝিঙ্গে ৩০, ঢেড়স ৫০, খাসির মাংস ৮০০ টাকা কিলো। তবুও ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে খাবার দাবারেএকটু অন্য স্বাদ আনতে চাইছেন বোনেরা।
