ভাতারের কুলনগর গ্রামের নব নির্মিত শিব মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো শুক্রবার। ফিতে কেটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মন্দিরের উদ্বোধন করেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। ভাতারের কুলনগরের এই শিব মন্দিরের সঙ্গে নানান ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দির স্থান ছিল ডাঙ্গা। স্থানীয় বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির স্বপ্নাদেশে স্থানীয় মানুষজন ওই ডাঙ্গার মাটির নিচে শিবলিঙ্গ উদ্ধার করে পূজার্চনা শুরু করেন। খবর পেয়ে তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজা শিবের নিত্য সেবার জন্য বেশ কিছু জমি জমা ও দান করেছিলেন। প্রথমদিকে খোলা আকাশের নিচেই পুজো হতো। পরে কলকাতার এক ব্যবসায়ী বলাই চন্দ্র শীল স্থানীয় ধনঞ্জয় যশের সঙ্গে আলাপচারিতা মাধ্যমে তিনি ঘটনার কথা জেনে মাটির তৈরী আটচালা নির্মাণ করে দেন। এতদিন ধরে এই ভাবেই শিবের নিত্য সেবা হতো। বর্তমানে ভাতারের বিশিষ্ট সমাজসেবী অশোক হাজরার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ প্রচেষ্টায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ব্যয়ে নবরূপে মন্দির নির্মাণ করা হয়। শুক্রবার বিধায়কের হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দিরের উদ্বোধন হয়। হাজরা পরিবারের অন্যতম সদস্য মধুসূদন হাজরা বলেন, এদিন সকাল থেকেই যজ্ঞ শুরু হয়েছে ।স্থানীয় কয়েকশো পূনার্থী কাটোয়ার গঙ্গা থেকে বাঁকে করে বয়ে আনা জল দিয়ে মন্দিরের শোধন ও পুজো হয়। প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষের জন্য মৎসবের আয়োজন করা হয়। এছাড়া হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। শিব মন্দিরের উদ্বোধন ও শিবরাত্রি উপলক্ষে এলাকার মানুষদের মঙ্গল কামনা করেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী অশোক কুমার হাজরা।
ভাতাড় থেকে সেখ মিলন এর রিপোর্ট