ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের ডেপুটেশন প্রদান, রামপুরহাট মহকুমা শাসকের নিকট
সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের রামপুরহাট শাখার পক্ষ থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের তাগিদে ১৯ দফা দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয় রামপুরহাট মহকুমা শাসকের নিকট বৃহস্পতিবার। এদিন বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড, ব্যানার সহযোগে মিছিল পরিক্রমা করে রামপুরহাট শহর এলাকায় জুড়ে এবং পরিশেষে মহাকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে জমায়েত হয়। এদিন তাদের দাবি সমূহের মধ্যে উঠে আসে যে, রামপুরহাট মহকুমার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ৭০ শতাংশ সাঁওতালি ছাত্র-ছাত্রী থাকলে অল চিকি হরফে সাঁওতালি ভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করা। রামপুরহাট কলেজে সাঁওতালি ভাষায় বি, এ পঠন পাঠন চালু করা। মল্লারপুর টুরকু হাসদা লেপসা হেমরম মহাবিদ্যালয়ে এম এ সাঁওতালি ভাষায় পঠন পাঠন চালু। আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থান রেকর্ড করে সংস্করণ চালু করা। আদিবাসী গ্রাম প্রধান অর্থাৎ পঞ্চ জন চালু করা।আদিবাসীদের শহরায় ও বাহা পরবে সরকারি অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা। রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় সমস্ত আদিবাসীদের জঙ্গল মহলের প্যাকেজ চালু ইত্যাদি দাবি সমূহের প্রেক্ষিতে স্মারকলিপি প্রদান বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব ঘাসিরাম হেমরম এক সাক্ষাৎকারে বলেন আদিবাসীদের নানান ধরনের সমস্যা জনিত তথা বঞ্চিত থাকার কথা তুলে ধরতে এই পদক্ষেপ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি এই আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে। সরকার যেখানে পুরোহিত ভাতা, ইমাম ভাতা চালু করলেও আদিবাসীদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হয়নি। আদিবাসীদের জমি জায়গা যা অ আদিবাসীদের নামে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে যাহা বন্ধ করা। সিলিকোসিস রোগীদের চেকআপ করিয়ে যথোপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন। পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় পাথরের ধূলো, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়েই মূলত আজকের ডেপুটেশন প্রদান। এই সমস্ত দাবি কার্যকর না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে এবং রাজ্য ব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।