জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
; বেহাল রাস্তা। এখানে সেখানে অসংখ্য গর্ত। গোটা রাস্তায় ইঁট বের হয়ে আছে। স্বাভাবিক ভাবে মোটরসাইকেল তো দূর অস্ত, হেঁটে যাওয়াটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি হলে রাতের অন্ধকারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ঘটনাটি মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের উজিরপুর গ্রামে।উজিরপুর বাসস্ট্যাণ্ড থেকে উজিরপুর গোলাপ সংঘ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিমি: রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। গ্রামে প্রায় হাজারের বেশি লোক বাস করে। এই রাস্তা দিয়েই গ্রামের বাসিন্দাদের পঞ্চায়েত অফিস, বাজার বা রেশন ডিলারের কাছে যেতে হয়।ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়েই গণপুর উচ্চ বিদ্যালয় যায়। বিকল্প রাস্তা থাকলেও কম দূরত্বের জন্য এই রাস্তার কিছুটা অংশ জালপাড়া দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দারা ব্যবহার করে। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে বছর পাঁচেক আগে এই রাস্তায় একবার ইঁট ও মোরাম পড়ে। তারপর আর রাস্তা মেরামত হয়নি।ফলে দিনের পর দিন রাস্তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে।সারা রাস্তায় ইঁট বেরিয়ে গেছে। অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জলে ভরা গর্তগুলি দেখে মনে হবে হয়তো বা মাছের ডিম চাষ হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে তো বটেই, বৃষ্টির সময় দিনের বেলায় চলাচল করাটাই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। এই রাস্তা দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন পঞ্চায়েত সদস্য পতিত পাবন মণ্ডল।তিনি বললেন – “রাস্তাটির অবস্থা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল আছি। ইতিমধ্যেই উজিরপুর গ্রামের ভিতরে ঢালাই রাস্তার কাজ চলছে। আর্থিক কারণে পঞ্চায়েতের পক্ষে একসাথে সমস্ত রাস্তা মেরামত করা সম্ভব নয়। খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তাটাও মেরামত করা হবে”।