মঙ্গলকোটে ধান বিক্রিতে দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ 

Spread the love

মঙ্গলকোটে ধান বিক্রিতে দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ 

সেখ রাজু,

বিভিন্ন সুত্রে জানা যাচ্ছিল যে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে সরকারি  ন্যায্য মূল্যে নির্ধারিত মিলে ধান বিক্রয় করতে পারছে না কৃষকদের একাংশ  । জোরালো ভাবে এই দাবি উঠলো সামাজিক মাধ্যমে । ঘটনা নজরে আসতে মঙ্গলকোট ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা নির্দিষ্ট মিল পরিদর্শন করেন এবং সমগ্র বিষয় খুঁটিয়ে তদন্ত করেন । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট কৈচর মিলে । জানা যায় ধান ওঠার পর থেকেই সরকারি নির্ধারিত ন্যায্য মূল্য থেকে ১০২ টাকা কম দামে বাধ্য হয়ে কৃষকরা ধান বিক্রয় করছিলেন । এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মিল মালিকদের ঔদ্ধত্যের কারণেই কৃষকরা সঠিক মূল্যে ধান বিক্রয় করতে পারেননি বলে অনেকের দাবি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে মান্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিল কর্তৃপক্ষ কৃষকদের প্রতি এহেনও আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে  ।

যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে না দিয়ে সরকারি নির্ধারিত মূল্য থেকে কম টাকা দিয়ে ধান কেনা হয়েছে বলে স্বীকার করেন কৈচর মিলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা । এই বিষয়ে  তাঁরা জানান –  “দুদিন আগে পর্যন্ত নির্দিষ্ট দাম অপেক্ষা কম দাম দিয়ে ধান কেনা হয়েছিল । সরকারি ভাবে ধানের সর্বাধিক আদ্রতার মাত্রা অর্থাৎ ময়েশ্চার ১৭%  কথা উল্লেখ আছে কিন্তু কাঁচা ধান ও মেশিন দিয়ে ধান কাটার জন্য কৃষকরা সেই ধান না শুকিয়ে সোজাসুজি মিলে নিয়ে আসছিল । এতে ধানের সর্বাধিক আদ্রতার মাত্রা অর্থাৎ ময়েশ্চার ২৫ % থেকে ৩৫ % পর্যায়ে নির্ধারণ করতে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম । তাই সরকারি ন্যায্য মূল্য অপেক্ষা কম দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়েছিল মিল কর্তৃপক্ষ’ ।

এই ঘটনার পরেই কাটোয়া মহকুমার এসডিও , মঙ্গলকোট ব্লক আধিকারিক অনামিত্র সোম, মঙ্গলকোট জেপিও দিব্যেন্দু দত্ত সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা কৈচর ধানের মিল পরিদর্শন করেন । প্রশাসনের মিল পরিদর্শন করার পরেই সুষ্ঠুভাবে সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু হয়েছে ।সোমবার এলাকার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে যান যাতে এই ধান বিক্রিতে সাধারণ কৃষকেরা লাভবান হন,কোন দুর্নীতি যেন না ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *