মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্ববৃহৎ ব্লক হিসাবে যেমন পরিচিত মঙ্গলকোট, ঠিক তেমনি এই জেলার এমএসডিপি ( সংখ্যালঘু) ব্লক হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গত ২০১০ সাল থেকে চিহ্নিত এই ব্লক। তাই সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বাড়তি সুবিধা মেলে মঙ্গলকোটে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটের পদিমপুর গ্রামে রেশমি খাতুন নামে এক যুবতি রুপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করে তা মঞ্জুর হয়েও রাজ্য সরকারের অনুদান থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১৯ সালে ৭ নভেম্বর গ্রামেরই ব্যবসায়ী যুবক বুলেট মুন্সির সাথে বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হয় সে৷ এরপর মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে এই যুবতি রুপশ্রী প্রকল্পে ফর্ম ফিলাপ করে থাকে । এই আবেদন মঞ্জুর ( ৪৩৮/এম.কে.টি /আর.পি/১৯-২০) করে ব্লক প্রশাসন। আবেদন করার সময় যুবতির বাবা গুরতর অসুস্থ থাকায় ব্যাঙ্ক একাউন্টের একটি সংখ্যা ভূল লিখে সে। আর এখান থেকেই যত বিপত্তি ঘটে৷ রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য স্টেটব্যাংকের একাউন্ট দেওয়া ছিল( ৩৫৭৪১৪৩৭৭০৭) তবে হবে ( ৩৫২৪১৪৩৭৭০৭)। ভূল একাউন্ট আবেদনপত্রে লেখবার সংশোধন চেয়ে চলতি বছরের গত ২৫ জুন ব্লক অফিসে লিখিত আবেদনপত্র জমা দেয় সে। এবং সেটি কাটোয়া মহকুমা ট্রেজারী অফিসে মঙ্গলকোট বিডিও পাঠিয়ে ( মেমো নাম্বার ১৮৯৯) দেন আগস্টের ১৭ তারিখে। রুপশ্রী প্রকল্পে ভূল একাউন্ট নাম্বার টি বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই বলে স্টেটব্যাঙ্ক সুত্রে জানা গেছে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সঠিক একাউন্টে রুপশ্রী প্রকল্পের সরকারি অনুদান দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে মহকুমা ট্রেজারীতে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি বলে যুবতির স্বামীর অভিযোগ । দুমাস পেরিয়ে গেলেও কোন সদুত্তর মেলেনি ট্রেজারী অফিস থেকে। মঙ্গলকোট ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে – “যাতে ওই আবেদনকারী সরকারি অনুদান পায়, সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে “।