মদন মিত্রের হাতধরে বাইপাশের ধারে রেড পিচার স্টুডিও উদ্বোধন করে এখন রেস্তোঁরা জগতে এক নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হল
অরিজিৎ দে
রুবি এবং কালিকাপুর মোড় ছাড়িয়ে একটু এগোলেই বাইপাসের ধারে রাখী পূর্ণিমার দিনে শুভ উদ্বোধন হলো রেড পিচার স্টুডিও রেস্তোঁরার। একরাশ রাখী পড়া হাতে বিধায়ক ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মদন মিত্রের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হল রেড পিচার স্টুডিও রেস্তোঁরার | এই মুহুর্তে তাঁর প্রিয় তালিকার মধ্যে রেড পিচার স্টুডিও আর এক বিশেষ যোগ। ফিতে কেটে আর কেক কেটে এই রেড পিচার স্টুডিওর উদ্বোধনও করলেন। তার সঙ্গে বললেন বাঙালির উদ্যোগে আবার একটি সুসজ্জিত খাবারের ঠিকানা রেড পিচার স্টুডিও যোগ হলো পুজোর মুখে। এই রেড পিচার স্টুডিওর দম্পতি কর্ণধার সৌম্যজ্যোতি চৌধুরী ও অদিতি চৌধুরী। সত্ত্বর আসন বিশিষ্ট প্রায় ২৫০০ স্কোয়ার ফুটের এই রেস্তোরাঁর কর্ণধার দম্পতি সৌম্যজ্যোতি চৌধুরী ও অদিতি চৌধুরী জানালেন,তাঁদের লেক গার্ডেনস রেড পিচার ও বাইপাসের ধারে নতুন আউটলেট রেড পিচার স্টুডিওয় বাজারের কেনা মশলা ব্যবহার হয় না। ভেন্ডার থেকে কেনা হলেও প্রতিটি উপাদান পরীক্ষা করে আমরা ব্যবহার করি। আমরা দুজনের জন্য আনলিমিটেড ব্যুফে রেখেছি মাত্র ৯৯৯/- টাকায়, সকাল ১২:৩০ থেকে বিকাল ৪:৩০ পর্যন্ত চলবে এই ব্যুফে। এছাড়াও এখানে চালু হল কলকাতার প্রথম বাটলার সার্ভিস। যেখানে অর্ডার অনুযায়ী টলি ট্রে সাজিয়ে হাজির হয়ে যাবে গ্রাহকের টেবিলে। তাঁদের স্বাদ অনুযায়ী লাইভ রান্নার ফিনিশিং টাচ আমরাই একমাত্র দিচ্ছি যা তারকাখচিত হোটেল ছাড়া পাওয়া যায় না। রয়েছে মনপসন্দ মকটেল। ব্যুফেতে থাকছে তালিবান সুপ থেকে কুলফি নিয়ে মোট ২১ টা সুস্বাদু পদ । চৌধুরী দম্পতি আরও জানলেন,আমরা বাঙালি, খাদ্যরসিক। তাই বাঙালির এই সুনাম আমরা বজায় রাখতে চাই। গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ আমাদের নতুন এই রেড পিচার স্টুডিওতে এসে চেখে দেখুন। হলফ করে বলতে পারি একবার এলে বার বার আসবেন। ব্যুফে ছাড়াও আমরা রেখেছি উত্তর ভারতীয় খাবারের সঙ্গে রাজকীয় মোঘল খানা। রয়েছে হরেক কাবাব। যা আমরা আরবিক কায়দায় পরিবেশন করি। বাড়তি আকর্ষণ তালিবান স্যুপ। কাশ্মীরি পোলাও, নান রুটি ছাড়াও থাকছে ল্যাম্ব রোস্ট। নিরামিষাশীদের জন্যও রয়েছে নানা আয়োজন। তবে ব্যুফে খেতে গেলে আসতে হবে বেলা সাড়ে বারোটা থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে।