মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ অভিষেক ব্যানার্জি জিন্দাবাদ আওয়াজ উঠুক বাকি অন্য কারো আওয়াজ উঠলে তাদের নিজস্ব দল করা উচিত- কাজল সেখ
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম
গত ২৫,২৬ ও ২৭ শে মে তিন দিন ব্যাপী জেলার তিনটি মহকুমা রামপুরহাট, বোলপুর ও সিউড়িতে পরপর মহা মিছিল অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ডাকে। উল্লেখ্য কোর কমিটির আলোচনা ছাড়াই তৎকালীন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে তিনটি মহকুমায় মহা মিছিলের ডাক দেন। কোর কমিটির মিটিং না হওয়ার এবং আলোচনা ছাড়াই মহা মিছিলের ডাক দেওয়ায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হওয়ার মুহূর্তে কাকতালীয় ভাবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার ন্যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কমিটির মধ্যেও ঘটে রদবদল। সেক্ষেত্রে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদ লুপ্ত করে দেওয়া হয় এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপারসন হিসেবে ডঃ আশিষ ব্যানার্জির নাম ঘোষিত হয়। পাশাপাশি জেলা তৃণমূল সভাপতি থেকে কোর কমিটির সদস্য হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম নথিভুক্ত হয়। কোর কমিটির মিটিং না হওয়ার ক্ষোভ প্রশমিত করতে তথা নতুন জেলা কোর কমিটির মিটিং ডাকা হয় আশিষ ব্যানার্জির নেতৃত্বে। অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি পূর্ব ঘোষিত অনুব্রত মণ্ডলের মহা মিছিলের কর্মসূচিতে কোর কমিটি সীলমোহর দেয়। সেই মোতাবেক তিন দিন মহা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তিনদিন তিন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে ওঠে। কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের কাট আউট সহ অনবরত মন্ডল জিন্দাবাদ, বীরভূমের উন্নয়নের কান্ডারী অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে তোলে। কোথাও আবার এক মিছিলে হাঁটতে দেখা গেলেও একমঞ্চে ভাষণ দিতে দেখা যায়নি। এদিন সিউড়ি মিছিলের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ছবি নিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র। এমনকি মিছিলের ক্ষেত্রেও কাজল অনুব্রত অনুগামীদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র টা ফুটে ওঠে শ্লোগান ও কাট আউটের বাহারে। এদিন মূলত তৃণমূল কর্মীরা নিজের নিজের নেতাদের ওজনের বাহার দেখলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মিছিল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তরে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধি প্রত্যয় তথা জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ বলেন মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, অভিষেক ব্যানার্জি জিন্দাবাদ আওয়াজ উঠুক বাকি যাদের নামে আওয়াজ উঠছে তাদের নিজস্ব দল করা উচিত তাদের লোকবল কত আছে কি আছে সেটাই দেখা দরকার। এখানে মমতা ব্যানার্জি অভিষেক ব্যানার্জি ছাড়া কারো কোন ছবি থাকবে না। বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠন করে দেওয়ায় কোর কমিটির নেতৃত্বেই আগামী ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন সংগঠিত হবে। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন সিউড়ি দুই নম্বর ব্লক এলাকায় অশ্বিনী ব্যাপক লোকজন নিয়ে এসেছে। উল্লেখ্য এখানে ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম কাজল ঘনিষ্ঠ এবং অশ্বিনী অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।তাই ব্লক এলাকার কথা বলতেই অশ্বিনীর প্রশংসা করেন। যদিও পরিশেষে বলেন লোকজন আমার আপনার কারো না। সমস্ত লোকজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মহা মিছিল শেষে দলীয় কর্মীদের মধ্যেও কানাঘুষা জেলা স্তরে তৃনমূলের দ্বন্দ্ব কি মিটবে? নাকি দুই স্রোত সমানতালে বহমান থাকবে? তৃনমূলের অন্দরে এই গুঞ্জন