মলানদিঘীতে একদিনের ফুটবল প্রতিযোগিতা
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
চূড়ান্ত পর্যায়ের ম্যাচে নির্দিষ্ট সময় খেলার ফলাফল ছিল ১-১. উভয় পক্ষ একটি করে গোল করে। খেলার নিয়ম মেনে শুরু হয় টাইব্রেকার। শেষপর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে আমলাজোড়া মজদুর সংঘকে ৫-৪ ব্যবধানে পরাস্ত করে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা মলানদিঘী স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত একদিন ব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়লাভ করে চাপাডাঙ্গা আদিবাসী সবুজ সংঘ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দর্শক সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এর আগে ২১ শে আগষ্ট মলানদিঘীর আশেপাশের ৩২ টি টিম নিয়ে মলানদিঘী ফুটবল ময়দানে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রথম সেমিফাইনালে চাপাডাঙ্গা আদিবাসী সবুজ সংঘ টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে মহাল পান্ডবেশ্বর একাদশকে পরাস্ত করে এবং অপর সেমিফাইনালে আমলাজোড়া মজদুর সংঘ ৪-৩ গোলে অজয়পল্লী একাদশকে পরাস্ত করে ফাইনালে পৌঁছে যায়। এই ম্যাচটিরও নিষ্পত্তি টাইব্রেকারে হয়।
খেলার শেষে এলাকার অতীত দিনের বিশিষ্ট ফুটবলাররা উভয় দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই মলানদিঘী স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় একদিন ব্যাপী এই ফুটবল প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। প্রবীণদের পাশাপাশি নবীন প্রজন্মের সক্রিয় উদ্যোগে সফলতার সঙ্গে এটি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
সুনীল পাল, কৃশানু ব্যানার্জ্জী, সঞ্জয় দাস, রোহিত পাল, তুহিন ভট্টাচার্য, সৌরভ নায়ক সহ আরো অনেকেই এবার সক্রিয় উদ্যোগ নেয়।
ক্লাবের অন্যতম সদস্য কৃশানু ব্যানার্জ্জী বললেন - পশ্চিম বর্ধমানের মলানদিঘী অন্যতম সাংস্কৃতিক পীঠস্থান হলেও খেলাধুলার বিষয়ে এলাকার ছেলেদের উৎসাহ যথেষ্ট আছে। মূলত তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতিযোগিতাটি হয়ে আসছে। গ্রামের প্রত্যেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।