মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তর দ্বিশতবর্ষ জন্ম বার্ষিকী পালন কাটোয়ায়।

Spread the love

মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তর দ্বিশতবর্ষ জন্ম বার্ষিকী পালন কাটোয়ায়।


দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী— পূর্বস্হলী
বৃহস্পতিবার কাটোয়ায় মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে মধুসুদন দত্তর দ্বিশতবর্ষ জন্ম দিবস পালিত হল মহা সমারেহের সাথে।কাটোয়ার ক্ষিতীভবনে হওয়া এই মহতী সভায় বিকেলের শীতকে উপেক্ষা করে স্হানীয় ও দূরদূরান্তের ৬০ জন কবি লেখক,সাহিত্য কর্মী উপস্হিত ছিলেন।স্মৃতিরক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অনিল ঠাকুর ও জহর প্রধান জানান এই সভায় প্রখ্যাত গল্পকার সুকুমার রুজ,কবি ও সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী,শিক্ষক দেবব্রত মুখার্জী,প্রাবন্ধীক দিলীপ মুখার্জী মহাশয়দের মধুসুদন স্মারক সম্মাণ দেওয়া হয়।৬০ জন কবি তাদের লেখা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি ডঃ দিলীপ সাহা,ডঃ পরেশনাথ ব্যানার্জী,অজয় পত্রিকার সম্পাদক তারকেশ্বর চট্টরাজ ও ডাঃ রবীন্দ্রনাথ মন্ডল মাইকেল মধুসুদন দত্তর জীবন তার কবিসত্তা,লেখক জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।তারকেশ্বর চট্টরাজ সংবর্ধিত চার গুনী ব্যাক্তিদের নিয়ে আলোচনা করেন।কাটোয়ার প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মৌমিতা প্রধানের উদ্বোধনী সংগীত সকল শ্রোতা ও অতিথীদের মোহিত করে।প্রথম গান” বিরষ দিন বিরল কাজ,প্রবল বিদ্রোহে/ এসেছে প্রেম, এসেছে আজ কী মহাসমারোহে” দ্বিতীয় গান “তুমি রবে নীড়বে হ্রদয়ে মম”। এই সভায় কবিতা পাঠ করেন রনজিৎ দাস,পল্লব চট্টপাধ্যায়,গুরুপ্রসাদ যশ,তপন দাস,পিনাকী চরন দে,তাপস ব্যানার্জী,ভগবাহাদুর সিং,অশোক দত্ত,অলোক দত্ত,প্রনবেশ সরকার,স্বপন মজুমদার,জয়দেব দত্ত,সুদীপ ঘোষাল সহ আরো অনেকে।মাইকেল মধুসুদন ১৮২৪ সালের ২৫ শে জানুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে।পিতা রাজনারায়ন দত্ত।মাতা জাহ্নবী দেবী।অমিত্রাক্ষা ছন্দ,সনেট,নাটক,প্রহসন,ট্রেজেডি,গীতিকবিতা তিনি প্রথম রচনা করেন।কালীসিংহ প্রসন্ন তাঁকে প্রথম সংবর্ধনা দেন।বিখ্যাত মহাকাব্য মেঘনাদবধ,ব্রজাঙ্গনা,বীরাঙ্গনা,একেই কি বলে সভ্যতা,তিলোত্তমা কাব্য,বুড়োশালিকের ঘারে রো,পদ্মাবতী নাটকও রচনা করেন,রেবেকা ও হেনরিয়েটা তার জীবনসঙ্গী ছিলেন।ব্যারিষ্টার,এই মহাকবি মধুসুদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ শে জুন প্রয়াত হন।অনিল ঠাকুর মাইকেলের লেখা কবিতার গান করেন।তিনি জানান কাটোয়া প্রৌড়পতির কাছে আবেদন করেছেন কাটোয়ার কোন একটি রাস্তা মধুসুদনের নামে করতে এবং মধুসুদনের একটি আবক্ষ মুর্তি প্রতিষ্ঠা করতে।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দর সুচারু ভাবে পরিচালনা করেন বাচিক শিল্পী ও অভিনেতা প্রতাপ মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *