মহাসমারোহে বিধান শিশু উদ্যানে পালিত হলো শিশু দিবস

Spread the love

মহাসমারোহে বিধান শিশু উদ্যানে পালিত হলো শিশু দিবস

পারিজাত মোল্লা ,

বৃহস্পতিবার অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বিধান শিশু উদ্যানে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ১৩৫তম জন্মবার্ষিকী আন্তরিকতার সঙ্গে পালিত হল। বিধান শিশু উদ্যানের নাচ, গান, আবৃত্তি বিভাগের সভ্য-সভ্যাসহ যোগাসন, অ্যাথলেটিক্স এবং তাই-কোন-ডু বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন কসরত প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনটি সারা দেশে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। তাই বিধান শিশু উদ্যানের পক্ষে আজকের দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের প্রতি পণ্ডিতজির ভালবাসা সর্বজনবিদিত। তিনি মনে করতেন দেশ গড়তে হলে শিশুদের শিক্ষা, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। জওহরলাল নেহরুর অন্যতম সহকর্মী অতুল্য ঘোষ এই বিষয়টিকে মর্যাদা দিয়েই শিশুদের সর্বাঙ্গীণ উন্নতিকল্পে বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উদ্যানের সকলের প্রিয় ‘দাদু’ চাইতেন খোলা আকাশের নীচে ছোটোরা নাচ, গান, খেলাধুলাসহ লেখাপড়ার কাজটিও করবে।
অতুল্য ঘোষ প্রতিষ্ঠিত ড. বি. সি. রায় মেমোরিয়াল কমিটির প্রথম কার্যক্রম ছিল নারকেলডাঙার কাছে ড. বি. সি. রায় মেমোরিয়াল চিলেড্রন্স হাসপাতালের নির্মাণ। যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানিয়েছেন -“১ জুলাই ১৯৬৩ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু এবং বিধান শিশু উদ্যানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী ওয়াই বি চবন ১৪ নভেম্বর ১৯৬৮ সালে। তাই বিধান শিশু উদ্যানে ১৪ নভেম্বর দিনটি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পালিত হয়’। জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগে হাজার খানেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী সপ্তাহের প্রতিটি দিন এই উদ্যানে যোগা, আবৃত্তি, গান, বিদেশি ভাষা প্রভৃতি শিক্ষালাভে এসে থাকে। একপ্রকার বিনামূল্যেই ( নামমাত্র ফি) চলে এই মহতি উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *