সাধন মন্ডল,
রাজ্য সফরে মোদি সরকারের প্রধান সেনাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকালে বাঁকুড়ায় এলেন জয় করলেন আদিবাসীদের মন। বাঁকুড়া সফরে এসে প্রথমেই কর্গাহিড় হেলিপ্যাডে নেমে তিনি চলে যান পুয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করতে। সেখানে মূর্তিতে মাল্যদান করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একহাত নেন রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। তিনি অভিযোগ করে বলেন দিদি কেন্দ্রীয় সরকারের সবকটি উন্নয়ন প্রকল্প এ রাজ্যে চালু হতে দেননি এর ফলে ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থাকছেন আসলে দিদি ভয় পেয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালু না করে, বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না। এরপর তিনি ও তার সাথে থাকা দলীয় নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা,দিলীপ ঘোষ দের নিয়ে চলে যান চতুর্ডিহি গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে। সেখানে তিনি ও দলীয় নেতৃত্ব মধ্যাহ্নভোজন সারেন। মধ্যাহ্নভোজের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হাত ধুয়িয়ে দেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার। পরিপাটি করা মাটির দেওয়ালে নানান ছবি আঁকা সুন্দর গ্রামীণ পরিবেশ পরিবেশে নিকানো মাটির দাওয়াতে কলাপাতার সাথে শালপাতার উপর ডাল, ভাত, রুটি আলু পোস্ত, পোস্ত বড়া,শাকভাজা বেগুন ভাজা, পটল ভাজা ইত্যাদি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন করেন তিনি। বিভীষণ বাবুকে পাশে বসিয়ে আহার করেন অমিত শাহ।শেষপাতে ছিল বাঁকুড়ার মিষ্টি। চতুর্ডিহিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে আদিবাসীরা ধামসা মাদল নিয়ে হাজির ছিল। আদিবাসী প্রথায় আদিবাসী নৃত্যের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ও দলীয় নেতৃত্ব কে স্বাগত জানানো হয়। পরে রবীন্দ্রভবনে সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত হন অমিত শাহ ও নেতৃত্ব সেখানে উপস্থিত হওয়া বিভিন্ন পেশার প্রায় 200 জন সাধারণ মানুষের উপস্থিত ছিলেন। তাদের অভাব অভিযোগ শুনেন। বিজেপি সূত্রে খবর এই সাংগঠনিক সভায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক রূপরেখা ঠিক করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জঙ্গলমহলের বাসিন্দা জয়ন্ত বাস্কে, ফুলচাষী পুলক ধাড়া তাদের অভাব অভিযোগ তুলে ধরেন সব কথা তিনি মন দিয়ে শোনেন ও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। বলেন মানুষের ক্ষোভ দেখতে পাচ্ছি। আপনারা তৃণমূল সরকারকে তো দেখলেন এবার বিজেপিকে সরকার চালাতে সুযোগ দেন। বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ব।