স্থান: খানকাহ আস্বিয়া আবুল উলাইয়া জাহাঙ্গিরিয়া, কেন্দ্রীয় ইদারা আল জামাআতুল আস্বিয়া মিশন
খানকাহ আস্বিয়া আবুল উলাইয়া জাহাঙ্গিরিয়া, কেন্দ্রীয় ইদারা আল জামাআতুল আস্বিয়া মিশনে উরস আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান দুই দিনব্যাপী পালন করা হলো। প্রথম দিনে নাত খানি ও মন্কবত অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় দিনে কুল শরীফের আয়োজন করা হয়। রাতে একটি বড় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাজ্য জুড়ে আসা বিশিষ্ট আলেমগণ বক্তব্য দেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় পীর তরিকত, সুফি এবং মুফতি ড. শাকিল আহমেদ আস্বি; কাজিয়ে শরিয়ত মালদা জেলা; অ্যাডভোকেট আসফাক আহমেদ আস্বি, যিনি সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী; বিশিষ্ট অধ্যাপক গুলাম নবি, যিনি পদার্থবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ; মুফতি তাহিদুর রহমান আশরাফি; মাস্টার ইমরান আস্বি; সুফি সরফরাজ আহমেদ আস্বি (হাওড়া); মাস্টার নজির হুসেন আস্বি; এবং পীরজাদা ওসামা আস্বি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভা চলাকালীন, সারা ভারতে সুফিবাদের প্রসারের জন্য একটি সামগ্রিক বোর্ড গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই বোর্ডের মূল উদ্দেশ্য হল কলকাতা এবং মালদায় দুটি বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজন করা, যেখানে সারা দেশের খানকাহ থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একত্রিত করে সুফিবাদের গভীর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তার ভাষণে পীর ড. শাকিল আহমেদ আসবি সুফিবাদের প্রসারে খানকাহের ঐতিহাসিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি এই আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন। পীর ড. শাকিল আহমেদ আসবি উৎসাহের সাথে খানকাহের মাধ্যমে ইসলামের প্রচারের ধারাবাহিকতার পক্ষে বক্তব্য দেন, যাতে এগুলি আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাগত অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে রয়ে যায় এবং খাজা গরীব নওয়াজ, হজরত নিজামউদ্দিন, সৈয়দানা আবুল উলা সরকার, শাহেনশাহ নাবির রেজা, আব্দুল হাই চাটগামী, মারহেরা এবং বেরেলি শরীফের মহান ওলিদের জীবনের ঘটনা এবং চরিত্র পুনরায় আলোকিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই সভাটি সুফিবাদের পুনর্জাগরণ এবং এর প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নির্দেশ করে এবং খানকাহের আধ্যাত্মিক বিকাশ ও জ্ঞানের প্রসারে এর ভূমিকা নিশ্চিত করে। বোর্ড শীঘ্রই কলকাতা এবং মালদায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন অনুষ্ঠানগুলির বিবরণ ঘোষণা করবে, যা সারা দেশের সুফি আলেম এবং অনুসারীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ হিসেবে প্রমাণিত হবে।