মিছিলের সেই মুখ,
মৌ চক্রবর্তী
বন্ধু, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাবার দিন আজ নয়,
স্বনির্ভরতায় বাঁচে মানব জীবন।
সুখ -দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েও
কেউ কথা রাখে না-সেদিন, এখন।
বহু কর্মব্যস্ততার ফাঁকে রাত্রি অবসরে
যখন হাত-পা-চোখের- আসে ক্লান্তি
খুন-রাহাজানি, জখম সংবাদের ভিড়েও
‘বনলতা’য় পায় একদন্ড শান্তি।
আচ্ছা বলতো! নিভন্ত চুল্লীতে কে আগুন দেবে?
বাঁচার তাগিদে জীবনের কি লড়াই,
মেয়েরা আজও বিকোয় চড়া দামে
পেরিয়ে যায় জীবনের উৎরাই-চড়াই।
বন্ধু, বেণীমাধবের বাড়ি কটা মেয়ে যেতে পারে?
পেট চালাবার সেলাই মেসিনটা চাই।
বিনু, লক্ষ্মী, মালতীর জীবনে কী নিষ্ঠুর রসিকতা!
আপ্তবাক্য, সেটুকু পুরোটাও নাই।
তাই বন্ধু, চলো ঝাঁপ দিই জীবনের দুর্বার স্রোতে
আজ সততার মূল্যবোধে বাঁধি বুক,
সবাই দেখুক, মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলেছে জীবন পথযাত্রী
সর্বাগ্রে আছে মিছিলের সেই মুখ।