সাধন মন্ডল
সারা দেশে করোনার আতঙ্কে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিশুমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই জন্য সরকার পোষিত সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে মিড ডে মিলের শুকনো খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। পরিবেশিত হচ্ছে চাল ডাল সাবান আলু আবার কখনো সেনিটাইজার। এই সেপ্টেম্বর মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে দু কিলো চাল এক কিলো আলু এক কিলো ছোলা ও একটি 10 টাকা দামের সাবান। এই সমস্ত দ্রব্যগুলো বিদ্যালয়গুলো ঠিকমতো ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক দের হাতে তুলে দিচ্ছেন কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক জগবন্ধু বন্দোপাধ্যায়। খাতরা পশ্চিম চক্রের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় তিনি পরিদর্শন করেন সঙ্গে ছিলেন খাতরা পশ্চিম চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক শেলী চক্রবর্তী। বহড়ামুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক অভিভাবিকা দের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। তাদের কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার খবরা-খবর ও নেন তারা। নিয়মিতভাবে মিড ডে মিলের দ্রব্যাদি পাচ্ছেন কিনা তাও জানতে চান উনাদের কাছ থেকে। অভিভাবক অভিভাবিকা দের কথায় সন্তুষ্ট বলে জানা যায়। সারা জেলায় বিভিন্ন দিনে পরিদর্শন হচ্ছে বলে জানান বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি ডঃ রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন লকডাউনের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। মিড ডে মিলের দ্রব্যাদি বিলি র দিন যাতে কোনভাবেই ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। শিশুদের পুষ্টিতে যাতে কোনরকম ঘাটতি না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা। আগামী দিনে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে মিডে মিলের সাথে সাথে শিশুদের পড়াশুনার মান উন্নয়নে নতুন কিছু চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুবার এক্টিভিটি টাস্ক ছাত্রছাত্রী দের দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনা চর্চা যাতে ঠিক থাকে সেই জন্য নানান পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।