মীর নুরুদ্দিন হুসেইনি ওরফে মীর সাহেবের দরগায় নবান্ন উৎসবের সূচনা, রাজনগরে
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও রাজনগরে মীর নুরুদ্দিন হুসেইনি ওরফে মীর সাহেবের দরগায় নবান্ন উৎসবের শুভ সূচনা হয় মঙ্গলবার ফিতা কেটে। শুভ উদ্বোধন করেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার সাধু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পরিমল সাহা, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সরস্বতী ধীবর, সমাজসেবী মহম্মদ শরীফ, গাফফার খান, সুখেন গড়াই, বিতান ধীবর, রাজনগর শান্তি কমিটির সম্পাদক প্রদীপ দে, মফিজ আলী, শওকত আলী, সেখ নাজু, সেখ মন্টু, প্রদীপ বাগদি প্রমুখ। মাজার শরীফ জিয়ারত এবং চাদর চড়ানো হয়। নবান্ন উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী বসে গ্রামীণ মেলা। রাজনগরের ঐতিহ্য মীর সাহেবের দরগায় যুগ যুগ ধরে পালিত হয় আসছে সম্প্রীতির নবান্ন। পহেলা অগ্রহায়ণ রাজনগরের কাদাকুলি গ্রাম সংলগ্ন মীর সাহেবের দরগায় হিন্দু ও মুসলিম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নবান্ন উৎসবে সামিল হয়।
নতুন ধানের অন্ন নবান্ন। পহেলা অগ্রহায়ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ধান জমিতে গিয়ে মাঠের ঈশান কোণ থেকে এক মুঠ ধান কেটে শাঁখ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে
সেটিকে লাল বা হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাস্তায় কোন কথা না বলে বাড়ি ফেরেন। এরপর সেই ধান দিয়ে লক্ষী পূজা করা হয় ।নতুন ধান থেকে মিষ্টান্ন বানিয়ে রাজনগরের মুসলিম দরগায় প্রসাদ আকারে দেওয়া হয়। রাজনগরের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য মানুষদের মত মালিপাড়ার দত্ত পরিবারের লোকেরা কয়েক পুরুষ ধরে বংশানুক্রমে এই নবান্ন পালন করে আসছেন। দত্ত পরিবারের নিতাই দত্ত, রবি লাল দত্ত, অরূপ দত্ত, তপন দত্তদের পাশাপাশি শওকত আলী, মফিজ আলী, মহম্মদ শরীফ, শেখ নাজুরাও এই নবান্ন উৎসবে শামিল হলেন। মীর সাহেবের দরগা এদিন হয়ে উঠল হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের এক মহামিলন ক্ষেত্র।
