মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের শুভেচ্ছা
সেখ সামসুদ্দিন, ১৮ ফেব্রুয়ারিঃ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন বাংলার ১০০দিনের কাজের বঞ্চিত মজুরদের কাজের টাকা তার সরকার মিটিয়ে দেবেন। আগামী ১ মার্চ তাঁদের নিজস্ব একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। যাতে সবাই সুষ্ঠ ভাবে সেই টাকা পান তার জন্য দলীয় নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত ব্লকে পঞ্চায়েতের সামনে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে কম্পিউটার নিয়ে থাকছেন দলীয় কর্মীরা নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে এবং সকলের ব্যাংক একাউন্ট ঠিক আছে কিনা বা চালু আছে কিনা দেখে নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরেও আজ থেকে প্রতিটি পঞ্চায়েতের বাইরে একটি করে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে পার্টির প্রশিক্ষিত কর্মীরা রয়েছেন সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য। ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান নিজে প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রে ঘুরে দেখছেন এবং এই বঞ্চিত মানুষগুলোর সাথে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিরাট ঘোষণার প্রচারও করছেন। তাঁর সাথে আছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক ও সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, প্রতিটি অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। একটু অন্য চিত্র দেখা যায় জামালপুর ১ পঞ্চায়েতে সেখানে উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল এক অনন্য কাজ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছেন, আর এস সি ও এস টি মহিলাদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা বাড়িয়ে ১২০০ করেছেন এবং ১০০ দিনের কাজের মজুরদের টাকা তিনি নিজে মিটিয়ে দিচ্ছেন তাই মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তিনি নিজে এবং ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খানের হাত দিয়ে মহিলাদের ও ১০০ দিনের কাজের মজুরদের একটি করে গোলাপ ফুল ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।জামালপুর ১ পঞ্চায়েতের ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায় একটা উৎসব ও খুশির আমেজ সাধারণ মানুষের মধ্যে। মহিলারা আজ ভীষণ খুশি একে তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের স্বাবলম্বী করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দ্বিগুণ করেছেন, তারপর সাহাবুদ্দিন বাবু ওরফে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে শুভেচ্ছা জানানোতে তারা সকলেই আপ্লুত। ১০০ দিনের কাজের টাকা দীর্ঘদিন আটকে ছিল কেন্দ্রের সরকার। তাদের প্রাপ্য হকের টাকা আটকে রেখেছিল। সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রী মিটিয়ে দিচ্ছেন এতে তারা ভীষণ খুশী। তাঁরা সকলে মুখ্যমন্ত্রীকে অজস্র ধন্যবাদ জানান।