আমিরুল ইসলাম,
ভাতারের মুরাতিপুর বাজারে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে নতুন জামা পরিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিল বেশ কিছু যুবক।
ভাতারের মুরাতিপুর বাজারে প্রায় 7 বছর ধরে রয়েছে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।
সে কোন কথা বলতে পারে না কথা বললেও তার ভাষা কেউ বুঝতে পারে না।
মুরাতিপুর বাজারে ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন দোকানদারের কাছে খাবার খেয়ে সে বেঁচে রয়েছে 7 বছর।
এলাকার মানুষ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তার পরিচয় জানতে পারেনি।
আজ মুরাদপুরের আমির শেখ নামে এক যুবকের উদ্যোগে এই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে নতুন জামাকাপড় পরিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিল সকলে।
প্রথমে ওই যুবক নোংরা অবস্থায় ছিল।
তার চুল দাড়ি কেটে তাকে সুন্দর ভাবে স্নান করিয়ে নতুন জামাকাপড় পরিয়ে ঈদের খুশি ভাগ করে নেন।
এরপর ক্ষীর সেমাই এনে খাওয়ানো হয় ওই যুবককে।
আমির সেখের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার সকল ধর্মের মানুষ।
মুরাতিপুরের বাসিন্দা মহিবুল আলম মন্ডল, সারা বছর ধরে নানান সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে আমাদের আমির ভাই।
আজকে যে কাজটা করেছে সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ।
এই করোনার পরিস্থিতিতে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের সঙ্গে যে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে খুব ভাল উদ্যোগ।
আমির শেখ জানান, আমি আজ সকালে যখন বাড়ি যাচ্ছি ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক দেখি নোংরা অবস্থায় রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে নতুন জামা কাপড় পড়ে যে সমস্ত মানুষ জন যাচ্ছেন তাদেরকে দেখছে। আমার একটু মায়া হল আজ ঈদের দিন সমস্ত কাপড়ের দোকান বন্ধ। আমারই এক বন্ধুকে আমি অনুরোধ করে দোকান খোলা এরপর ওই যুবককে স্নান করিয়ে নতুন জামাকাপড় পরিয়ে দিলাম আজ আমার জীবনের সবথেকে বড় ঈদ আমি পালন করলাম।