শুভ ঘোষ,
স্কোলিওসিস হল মেরুদণ্ডের বক্রতার বেশ কয়েকটি কারণে সৃষ্ট নিউরোমাসকুলার ব্যাধি। একটি সাধারণ ব্যক্তির মেরুদণ্ড কাঁধের কাছাকাছি এবং নীচের পিছনে একটি বক্র থাকে।তবে বাইরের স্কোলিওসিসের ক্ষেত্রে এটি হাড়ের অবস্থার মতো দেখাবে। মেরুদণ্ডের ত্রি-মাত্রিক প্রান্তিককরণ যা একটি বক্ররেখা সৃষ্টি করে স্কোলিওসিসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।স্কোলিওসিসটি সাধারণত 10-15 বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটে তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের ক্ষেত্রেও ঘটে। স্কোলিওসিস 15 ডিগ্রি বা 50 ডিগ্রির বেশি মেরুদণ্ডের বক্ররেখা বর্ণনা করতে পারে। বক্ররেখা মেরুদণ্ডের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘটতে পারে,যা পেলভিসকে বা প্রধানভাবে বাঁকাতে পারে।স্কোলিওসিস হলো একটি প্রগতিশীল ব্যাধি। সুতরাং,অবস্থা নির্ণয়ের সাথে সাথে স্কোলিওসিসের চিকিৎসা করা অপরিহার্য।
স্কোলিওসিস সচেতনতা মাসে স্পাইন রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও এইচ,পি,ঘোষ,হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে সম্যক সচেতনতার লক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এইচপি ঘোষ হাসপাতালের সেমিনার রুমে।কত প্রকারের স্কোলিওসিস,তার উপসর্গ, প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন ডাঃ সৌম্যজিৎ বসু,ডাঃ অমিতাভ বিশ্বাস এবং ডাঃ ত্রিয়াঞ্জন সারেঙ্গি।স্পাইন রিসার্চ ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ৩০ জন রোগীকে সুস্থ করে তুলেছে।চিকিৎসকদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে স্কোলিওসিস রোগ থেকে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার গল্প বললেন ভুক্তভোগীরা।এই রোগের ক্ষেত্রে দরকার প্রাথমিক স্তরে নির্ণয় ও তার প্রতিবিধান।চিকিৎসা খরচ আয়ত্বের মধ্যে।