যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানো নিয়ে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর অর্থ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে আবেদন জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ।প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল প্রো ভাইস চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে ১১ অগাস্ট একটা বৈঠক করে। যেখানে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সিসিটিভি লাগাতেই প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আদালতের নির্দেশ ১৫ দিনের মধ্যে কতজন নিরাপত্তা রক্ষী প্রয়োজন। পাশাপাশি কোথায় কত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন তা রাজ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খতিয়ে দেখবে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আদালতের নির্দেশ কত পালন করা হয়েছে সে বিষয়ে।উল্লেখ্য, যাদবপুর ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চাপানউতোর চলছে। প্রায় দুবছর আগে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু হয় নদিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসা এক পড়ুয়ার। তার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে একপক্ষ জোরদার সওয়াল তোলে, অপর একপক্ষ বিরোধিতা করে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় মূল ও সল্টলেক ক্যাম্পাস এবং মেন হস্টেলের গেটে ৩০টি সিসিটিভি বসানো হয়, যার জন্য ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। এরপরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে গত ১ মার্চ ক্যাম্পাসে ছাত্রদের একাংশ নির্বাচনের দাবিতে দাবি জানান । এই ঘটনার পরে সিসি ক্যামেরার সওয়াল আরও জোরদার হয়।গত মাসে, কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকলেও, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে সিসিটিভি ক্যামেরার মতো সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার একটি সভা আহ্বান করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি নির্বাহী পরিষদের সভা করার নির্দেশ দেয়।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি বসানো নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। জেইউ-এর নিরাপত্তার জন্য দুই ক্যাম্পাস মিলিয়ে প্রায় ৭৫ টি সিসিটিভি বসানোর জন্য ৬৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন করার ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে তাদের অবস্থান জানাতে হবে হাইকোর্টে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।