যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের মামলায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারী হাইকোর্টের

Spread the love

যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের মামলায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের 


মোল্লা জসিমউদ্দিন,
গত ৮ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের দিন রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ডানকুনি থেকে সাতরাগাছি এলাকা। জলকামানে বেগুনি রঙের জল দেওয়া থেকে এক বিজেপি নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার বিশেষত ‘পাগড়ি’ কান্ডে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। গত সোমবারও লোকসভার স্পিকারের কাছে সেদিনকার আন্দ্রোলনকারী যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ তেজস্বী সূর্য ৮ অক্টোবরের নবান্ন অভিযানের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে জলকামানে রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বসিরহাট সাংসদ তথা তৃণমূলের মুখপাত্র নুসরত জাহান তাঁর ট্যুইটার একাউন্টে বিজেপির ‘ফ্যাসিবাদ’  নিয়ে প্রতিবাদ মূখর হয়েছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে নবান্নের অভিযান ঘিরে পুলিশের দায়ের করা  ৭ টি মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে মামলার শুনানি চলে। সেখানে বিচারপতি  এই ৭ টি মামলায় ২৫ জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে আগামী ২৬ নভেম্বর অবধি স্থগিতাদেশ জারী করেছেন।ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এই ৭ টি পুলিশি মামলা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা সহ রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েটরা অভিযুক্ত আছেন। সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী,  সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়,সাংসদ  অর্জুন সিং, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী ভারতী ঘোষ, প্রমুখ অভিযুক্ত রয়েছেন  গত ৮ অক্টোবর  নবান্ন অভিযানে অশান্তি পাকানোর মামলায়। সরকারি কাজে বাধাদান, বেআইনী জমায়েত, প্রভৃতি ধারা গুলি রয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলায়। কলকাতার হেস্টিং মোড়ে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি টি। বিশেষত জলকামানে বেগুনি রঙের রাসায়নিক জল প্রয়োগের অভিযোগ তুলে বঙ্গ বিজেপি। সেদিন বিজেপির রাজ্য নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুলিশ অফিসারদের নবান্ন পাহাড়ায় সেদিন দেখা গিয়েছিল। এমনকি নবান্ন ভবন স্যানিটাইজার করার নামে জনসাধারণের জন্য বন্ধও রেখেছিল রাজ্য প্রশাসন। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা কে কেন্দ্র করে হেস্টিংস থানার পুলিশ ৭ টি ফৌজদারি মামলা রুজু করে থাকে। সেখানে কৈলাশ বিজয়বর্গী, মুকুল রায়, অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষদের মত বিজেপির হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা অভিযুক্ত। এই মামলা গুলি খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে পিটিশন দাখিল করেন বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে এই মামলার বিচারপতি পুলিশি তদন্তের উপর আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারী করেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২৬ নভেম্বর। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশে স্বস্তির হাওয়া বঙ্গ বিজেপির শিবিরে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *