মোল্লা জসিমউদ্দিন, ৩ ফেব্রুয়ারি
বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে রমাপ্রসাদ রায় নামে এক আইনজীবী বিজেপির ঘোষিত রথযাত্রা নিয়ে মামলা দাখিল করেছেন। মূলত রথযাত্রাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে দাখিল করা পিটিশনে জানানো হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারিতে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা ( রথযাত্রা) শুরু হচ্ছে।তাই তার আগে অর্থাৎ আজ ( বৃহস্পতিবার) কিংবা আগামীকাল ( শুক্রবার) এর মধ্যে হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন নবান্ন স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কে অবগত করে এই রথযাত্রার অনুমতি গত মঙ্গলবার জানিয়েছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে এহেন রথযাত্রার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে সেবার গোয়েন্দা রিপোর্ট কে হাতিয়ার করে রথযাত্রা আটকানো গেছিল বাংলার বুকে।তবে বহু চর্চিত একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হিন্দুত্ব কে হাতিয়ার করে রাজ্যের ৫ জায়গা থেকে রথযাত্রা বের করবার চরম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। টার্গেট হিসাবে সনাতন হিন্দুদের পীঠস্থান নবদ্বীপ ধাম, তারাপীঠ, কোচবিহার, বেলুড় আবেগময় স্থান গুলি কে রাখা হয়েছে। উদ্বোধক হিসাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার আসার কথা।রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্র কে ছুঁয়ে যাওয়ার ছক কষে ফেলে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের এক জনসভায় সাত আট দিনের মধ্যে বিধানসভা ভোট ঘোষণা হতে পারে বলে আশংকা করেছেন।তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য রথযাত্রা বাংলায় অন্য মাত্রা এনে দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রী চৈতন্যদেবের নবদ্বীপ ধামে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রথযাত্রার উদঘাটনে আসবেন। এই রথ ঘুরবে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে।এই রথযাত্রাটি শেষ হবে ব্যারাকপুরে।আগামী ৮ ফেব্রুয়ারিতে দুটি রথ ঘুরবে। একটি কোচবিহার থেকে মালদহ। অপরটি কাকদ্বীপ থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতা ঘুরবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারিতে দুটি রথযাত্রা দেখা যেতে পারে। একটি ঝাড়্গ্রাম থেকে বেলুড়।অপরটি তারাপীঠ থেকে পুরুলিয়া পর্যন্ত । ইতিমধ্যেই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান থেকে নবান্ন অভিযানে হতাহতের ঘটনা ঘটার নজির রয়েছে। সেক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কলকাতা হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের আপামর শান্তিপ্রিয় জনগণ।