শুভদীপ ঋজু মন্ডল,
দীর্ঘ দুই বছরের করোণার ভয় কাটিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনন্দে মেতে উঠলেন হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ উপচে পড়ল ভিড়।রাইপুর মদন গোপাল জিউ ইসকন মন্দিরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল রথযাত্রা উৎসব। সকালে মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ভগবান জগন্নাথ দেব বলভদ্র ও সুভদ্র মহারানী কে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, রাধারানী ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভকে সাজিয়ে রথ উৎসবের জন্য নতুন ভাবে শৃঙ্গার করানো হয় ।সকালে বাল্য ভোগের পর তা ভক্তদের দর্শনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়। দুপুরে ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্র মহারানীর উদ্দেশ্যে এরপর পুজো পাঠ শেষ হলে মন্দির প্রাঙ্গনে আগত প্রায় দশ হাজার ভক্তের প্রসাদ বিতরণ করা হয় সেই প্রসাদের সাথে ৫৬ ভোগের প্রসাদ দেওয়া হয় যা ভক্তরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন ।রায়পুর ইসকন মন্দিরের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ ৫৬ ভোগ এই ভোগ নিবেদন দর্শন করতে হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরের সামনে এসে ভিড় করেন এবং তা সুশৃংখলভাবে দর্শন করেন ।রায়পুর ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রসময়ানন্দ জি মহারাজ বলেন স্নানযাত্রার পর ভগবান জগন্নাথদেব, বল ভদ্র ও সুভদ্রা মহারানী অন্তরালে থাকেন। আজ রথের দিন রথে চেপে ভক্তদের দর্শন দেন এবং মাসির বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করেন। আগামী সাতদিন পর তিনি ও তাঁরা মাসির বাড়ি থেকে স্বস্থানে আগমন করেন। আজ রথযাত্রার দিন প্রায় দশ হাজার ভক্তের প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আগামী সাতদিন ধরে মাসির বাড়িতে নানান অনুষ্ঠান কীর্তন ,গীতা পাঠ চলবে ও ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আজ বৃষ্টি উপেক্ষা করে রথ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছিল রায়পুর বাজারে। বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসেছিলেন ।এখানে উল্লেখ্য রায়পুর বাজারে রায়পুর গ্রামবাসীদের উদ্যোগে আরো একটি রথ বের হয়েছিল যার মূল উদ্যোক্তা হলেন উদয় মল্লিক এই রথেও ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল ইসকনের রথ বেরিয়ে যাওয়ার পর এই রথ বাজার পরিক্রমা করে। এছাড়া রায়পুর ব্লকের ফুলকুসমা ও রসপাল রাজবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় রথযাত্রার উৎসব পালিত হয়। দীর্ঘদিন রসপাল রাজবাড়ীর রথ উৎসব বন্ধ ছিল কয়েক বছর আগে রায়পুরের তৎকালীন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দীপঙ্কর দাস এই উৎসবের সূচনা করেন।