রাজ্যের মেয়াদ শেষ হওয়া পুরসভা গুলির দ্রুত ভোট চায় হাইকোর্ট

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,


একুশের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে বাংলায় শুরু হয়ে গেছে প্রাক প্রস্তুতি। এরেই মাঝে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ কলকাতায় ঘুরে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট কার্ডও তলব করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট করানো নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। একটি করেছিল হাওড়া জেলা সিপিএম নেতৃত্ব,অপরটি মৌসুমী রায় নামে এক মহিলা। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মহম্মদ নিজামুদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চে এই দুটি মামলার উভয়পক্ষের শুনানি চলে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশন কে রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা সেরে দ্রুত ভোট পর্ব চালু করবার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কলকাতা পুরসভার ভোট সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারধীন রয়েছে। তাই হাওড়া সহ রাজ্যের ১১১ টি পুরসভার দ্রুত ভোট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । ২০১৬ সালের পর থেকেই রাজ্যের এইসব পুরসভা গুলি দফায় দফায় নির্বাচিত পুর কর্তৃপক্ষের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। পরে রাজ্য সরকার এইসব পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করে থাকে। এই প্রশাসক নিয়োগেও  পক্ষপাতিত্বর অভিযোগ তুলে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।কাঁথির বিদায়ী পুর চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর মামলাটি অন্যতম। আর হাতে মাত্র কয়েকমাস, তারপরেই বহু চর্চিত একুশে বিধানসভা নির্বাচন।তাই ক্ষমতাসীন রাজ্য সরকার বিধানসভার ফলাফল না দেখে পুর ভোটে আগ্রহী নয় এই অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।বিরোধী নেতাদের দাবি -‘ এই মুহুর্তে রাজ্যের ১১১ টি পুরসভার অবাধ নির্বাচন ঘটলে তাতে শাসক দলের ভরাডুবি ঘটবে’।তাই শাসক দল নানা অছিলায় পুর ভোট এড়িয়ে যাচ্ছে।রাজ্যের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে কোভিড পরিস্থিতি তুলে ধরে ভোট এই মুহুর্তে না করার কথা বলা হলেও।হাওড়া জেলা সিপিএমের নেতা বিপ্লব মজুমদারের দাবি – “২০১৮ সালে ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তো করোনা ছিলনা?” শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মহম্মদ নিজামুদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশন কে ‘পুর নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার’ নির্দেশ দেয়। কলকাতা পুরসভার ভোট সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারধীন রয়েছে তাই রাজ্যের হাওড়া সহ বাকি ১১১ টি পুরসভার দ্রুত ভোটপর্ব চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে রাজ্য সরকারের সাথে বিষয়টি আলোচনা করে। এই মুহুর্তে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী ক্রমশ বিজেপি মুখি বলে সুত্রে প্রকাশ। হাওড়া জেলার  লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ।বিধায়িকা বৈশাখী ডালমিয়াও বিজেপিমুখি বলে প্রকাশ। মাঝে মাঝে বেসুরো হচ্ছেন শাসকদলের অনেকেই।ঠিক এহেন হাওড়া জেলা তৃনমূলের আভ্যন্তরীণ বিবাদে পুরভোট হলে শাসকদলের ফলাফল ধরে রাখাটা কঠিন চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের ভোটপর্ব দ্রুত শেষ করার নির্দেশিকায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন কতটা তৎপরতা দেখায়?  তবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আসন্ন বিধানসভার প্রাক প্রস্তুতি রাজ্যের পুরভোটের প্রস্তুতিপর্ব কে অনেকটায় এগিয়ে দিয়েছে, তা নিসন্দেহে বলা যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *