রাজ্যে বিজেপির সরকার হচ্ছে,আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারী

Spread the love

খায়রুল আনাম বিপাশা আর্ট প্রেস,

 রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু
       
এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নামে  চলা পিসি-ভাইপো সরকারের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্বে ২৯ এপ্রিল ভোট হবে বীরভূমে। সেই ভোটে দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেবার আহ্বান জানাতে  শনিবার ১৭ এপ্রিল বীরভূমের ইলামবাজারে এসে জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তৃত্বার মূল সুরটাই বাঁধা  ছিলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায়। তবে, তিনি এঁঁদের নাম উচ্চারণ না করে পিসি-ভাইপো বলেই সম্বোধন করেছেন।   এদিন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তৃতার ঝাঁঝকে বেঁঁধে রেখেছিলেন সেই পিসি-ভাইপোর সমালোচনায় আর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রশংসায়।  তাই তিনি বলেন,  বিগত বাম সরকারের ৩৪ বছর আর পিসি- ভাইপোর সরকারের ১০ বছর, এই ৪৪ বছরে বাংলাটা ছারখার হয়ে গিয়েছে। তাই এবার সুযোগ এসেছে কেন্দ্র- রাজ্যে একই সরকার গড়ে বাংলার বিকাশ ঘটাবার। বামফ্রন্ট যখন ক্ষমতা থেকে চলে যায় তখন রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ছিলো ২ লক্ষ কোটি টাকা। ১০ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা। আগে যেখানে রাজ্যে ১ কোটি বেকার ছিলো, এখন  তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি। বেকাররা চাকরি না পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর উনি পা দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উনি  যদি মেদিনীপুরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করে থাকেন,   তাহলে ভাঙা পা নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এলেন কেন ?  আসলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে  চিকিৎসক, পরিকাঠামো কোনও কিছুই যে নেই তা তো উনি ভালোমতোই জানেন।  আজ উনি গণতন্ত্রের কথা বলছেন অথচ, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে   উনি  ৫ লক্ষ ২০ হাজার পঞ্চায়েতের  ভোট লুঠ করেছেন  লাঠি, বোমা, বন্দুক দিয়ে। আর তারপর থেকেই চলছে পিসি-ভাইপোর লুঠের রাজত্ব। এঁঁদের লুঠের হাত এতোটাই লম্বা যে কেন্দ্রের বরাদ্দ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পোষাকের ৬০০ টাকা বরাদ্দ থেকে টাকা লুঠ করে ছাত্রছাত্রীদের ১৫০ টাকার জামা দিচ্ছে। যা ঠিকমতো পড়াও যায় না। যে ছোলা দেওয়া হচ্ছে তা পশুতেও খায় না। অথচ তাই-ই দেওয়া হচ্ছে স্কুল শিশুদের। এখানেও সেই কাটমানি। আবাস যোজনার ঘর পেতে গেলেও দিতে হচ্ছে কাটমানি। পিসি- ভাইপোর এই সরকার এখন তোলাবাজি আর কাটমানির সরকার হয়ে গিয়েছে। তাই এই সরকারের পরিবর্তন ঘটিয়ে কেন্দ্র- রাজ্যে একই সরকার  গড়ার  প্রয়োজন রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *