সুরজ প্রসাদ
লাঠি হাতে নয়, বিধি ভঙ্গকারীদের শবক শেখাতে অন্য পদ্ধতি নিল পূর্ব জেলা পুলিশ প্রশাসন। তিনমাস লকডাউন চলার আনলক ওয়ানে কিছুটা ছন্দে ফিরছিল । কিন্তু করোনা সংক্রমণ ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়তে থাকে। ঠিক তেমনি পাল্লা দিয়ে শুরু হয় কোভিডে মৃত্যু মিছিল।
কোভিডের গ্রাফ উদ্ধমুখী হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় বর্ধমান পৌর এলাকায় লকডাউন। লাগাতার প্রচার। তবু বেহুঁশ একশ্রেণির মানুষজন।
তবে এবার লকডাউনে কড়া পুলিশ প্রশাসন।
বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বা রাস্তার মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করেছে।নাগাড়ে চলছে নাকা তল্লাশি।
রবিবার জিটি রোড বীরহাটা মোড়ের নিয়ম ভঙ্গকারী টোটো চালকদের কান ধরে উঠবস করানো হয়। লাঠি পেঠা বা জরিমানা করে নয় তাদের শিক্ষা দেওয়া হল অন্য ভাবে।
বর্ধমান শহরে লকডাউনের পঞ্চমদিনে পুলিশকে অন্য মেজাজে দেখা গেল।
বারবার জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা হলেও কোনো ভাবেই তারা মানছেন না।তবে সিংহভাগ মানুষ লকডাউনের নির্দেশিকা মানলেও এক শ্রেণির বেপরোয়া মানুষজন প্রশাসনের পক্ষে থাকলেও সরকারি নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন তারা নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে গোটা রাজ্যের মতই পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক সহ পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্ত সাংবাদিক। আক্রান্ত হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি । তালা পড়েছে জেলা পরিষদের কার্যালয়ে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিদিনই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা এখন লাটে ওঠার জোগাড়। তবু একদল মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন অপ্রয়োজনে।তাই লাঠি,জরিমানা বা গ্রেফতার নয় কানধরে রাজপথে ওঠবস করানোকেই করোনার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছে পুলিশ। গতকাল লকডাউন অমান্য করায় পুলিশ গোটা জেলায় ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে।
এখন প্রশ্ন এত কিছুর পরও মানুষ আর কবে সচেতন হবে।কবে নিজের ভালো বুঝতে শিখবে?