মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মারণ ভাইরাস করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে প্রথম থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে । সরকারি নির্দেশ আনুসারে জনসাধারণকে সচেতন করা, নিদিষ্ট সময়সীমায় বাজারে আগত মানুষদের মুখে মাস্ক পড়ানো বাধ্যতামূলক করা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাটোয়া এবং কালনা মহকুমা এলাকার বিভিন্ন বাজার গুলিকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। আয়তনে বড়বাজার গুলির দায়িত্বে একজন থানার আধিকারিক সহ বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সাথে থাকা কনস্টেবল , ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক পুলিশদের নিয়ে বাজার চলাকালীন প্রতিদিন বাজারে হাজির থাকছেন এবং সব রকম বিধিনিষেধ মেনে যেন বাজার পরিচালিত হয় তার জন্য চেষ্টা করে চলেছেন। বাজার কমিটির সঙ্গে নিয়মিত মিটিং করা হচ্ছে, যাতে করোনা স্বাস্থবিধি আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করা যায়। থানা গুলির ওসি-আইসিরা, কালনার সার্কেল ইন্সপেক্টর এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিজেরা দাড়িয়ে থেকে সমস্ত ব্যাপার গুলি নিশ্চিত করছেন বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ) ধ্রুব দাস মহাশয় । অনেক বাজার কে নিকটবর্তী বড় জায়গায় সরানো হয়েছে এবং কিছু বাজার কে দূরত্ব বিধি অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল ও নদীতে ফেরি চলাচল ইত্যাদির ওপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে । কোভিড বিধি বিষয়ক সচেতনতার প্রচারে শনিবার কালনার চকবাজার এবং ইন্দরা বাজার পরিদর্শনে আসেন কালনার মহকুমাশাসক। প্রতিদিনের মত শ্রী সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য (মহকুমা পুলিশ আধিকারিক), কালনা থানার ওসি শ্রী রাকেশ সিং ও অন্যান্য পুলিশ কর্মচারীরা সকাল থেকেই হাটবাজার গুলির ভীড় নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত ছিলেন। মহকুমাশাসক উনাদেরকে সাথে নিয়ে বাজার কমিটি এবং ক্রেতা উভয়ের সাথে কথা বলেন।স্বাস্থ্য বিধি মানা ও বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ার কথা বলেন।কাটোয়া এবং কালনা মহকুমা এলাকায় কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, কালনা, মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী,নাদনঘাট প্রভৃতি থানায় পুলিশ কর্মীরা বিভিন্ন সড়কপথের পাশাপাশি ব্যস্ততম বাজারে ডিউটি করে চলেছেন। লকডাউনে নিদিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর অযথা বাড়ির বাইরে দেখা গেলে গ্রেপ্তারিও চলছে। মারণ ভাইরাস করোনা আবহে জীবন কে বাজি রেখে পুলিশ কর্মীরা যেভাবে ননস্টপ ডিউটি চালাচ্ছেন তাতে সাধারণ মানুষরাও মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণ থেকে অনেকটাই রেহাই পাচ্ছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।