মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু) ,
মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন।সেখানে সমস্ত অফিস – আদালত একপ্রকার বন্ধ বলা যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ৪ জুন হাওড়া জেলায় সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এক বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক – অশিক্ষক কর্মচারীদের বদলীর নির্দেশ জারি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ এর এহেন নির্দেশ জারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন বদলীর নির্দেশপ্রাপ্ত চারজন শিক্ষক।মামলাকারীদের আইনজীবী এক্রামূল বারি আবেদনকারি শিক্ষকদের হয়ে মামলাটি লড়েন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার অনলাইন শুনানি চলে। সেখানে উভয় পক্ষের ভিডিও কনফারেন্সে সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য হাওড়ার ওই স্কুলের চার জন শিক্ষকের বদলীর নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। সেইসাথে এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষর ওই বদলীর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সাথে বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আদেশনামা রয়েছে এই মামলার রায়দানে। আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলবে বলে জানা গেছে। মামলাকারীর আইনজীবী এক্রামূল বারি জানান – ” করোনা ভাইরাসের দৌরাত্ম্যে সারা দেশে যখন অফিস আদালত একপ্রকার বন্ধ বলা যায়, সেখানে কিভাবে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক – অশিক্ষক কর্মচারীদের বদলীর নির্দেশ জারি করতে পারে? “। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলায় ওই শিক্ষকদের বদলীর নির্দেশ প্রত্যাহার করতে এক সপ্তাহের সময়সীমা যেমন দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।