শবর জনজাতির শংসাপত্র দিতে তৎপর রাইপুর প্রশাসন

Spread the love

শুভদীপ ঋজু মণ্ডল, বাঁকুড়া:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে রাইপুর ব্লক প্রশাসন। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গুলি যাতে ঠিকমতে সকল মানুষের কাছে পৌঁছায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছেন রাইপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রঞ্জন সর্দার ও রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতি। যে সমস্ত ব্যক্তিদের জাতিগত শংসাপত্র নেই তাদের হাতে জাতিগত শংসাপত্র তুলে দিতে বদ্ধপরিকর রাইপুর ব্লক প্রশাসন। রাইপুর ব্লকের ঢেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম সারস বেদিয়া। এই গ্রামের শবর পাড়ায় প্রায় 300 শবর (খেঁড়িয়া) জনজাতি র বাস এদের মধ্যে মাত্র একজনের জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে বাকিদের নেই বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন রাইপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রঞ্জন সর্দার তার পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন পিছিয়ে পড়া শবর(খেঁড়িয়া) জনজাতির এইসব মানুষদের অবিলম্বে জাতিগত শংসাপত্র তৈরীর জন্য তাদের গ্রামে গিয়ে শিবির করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা হবে সেইমতো আজ সারস বেদিয়া গ্রামের শবর পাড়ায় শিবির অনুষ্ঠিত হলো । শিবিরে প্রায় দেড়শ জন মানুষের জাতিগত শংসাপত্র তৈরির যাবতীয় নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। শংসাপত্র তৈরি হলে তা আবার শিবিরের মাধ্যমে তাদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে বলে জানান সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রঞ্জন সর্দার। আজকের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ব্লক খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক, কোপারেটিভ ইন্সপেক্টর, মৎস্য বিভাগের আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিক বৃন্দ। যাতে উপভোক্তা দের প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্যই সমস্ত বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ব্লক প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার মানুষ তথা সারস বেদিয়া গ্রামের শবর জনজাতির মানুষজন। গ্রামবাসী মন্টু শবর মালতি শবররা বলেন আমরা অতীতে কয়েকবার অফিসে গিয়েছিলাম কিন্তু কোন কাজ হয়নি তাছাড়া এত দূরে অফিস হওয়ায় আমাদের পক্ষে বারবার যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি আর আমাদেরও সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি আমরা যে তিমিরের সেই তিমিরেই ছিলাম। এবারে বিডিও সাহেব আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত রকম পরিষেবা যাতে আমরা নিয়মিত পেতে পারি তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন এজন্য উনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি এবার আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা পাব আর তা পেলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরাও অন্ধকার জগতে না থেকে এবার শিক্ষার আলো দেখবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *