শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরি গড়ে তুলতে এবং পাঁচ হাজার মহিলাদের কর্মসংস্থান করার উদ্দেশ্যে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো বোলপুরের শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, উপস্থিত সংস্থার অন্যধর মলয় পিট।
২০২৭ সালের মধ্যেই শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরী গড়ে উঠবে। তার আগে, ২০২৪ সালের মধ্যেই, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটানো হবে।
শান্তিনিকেতন মানেই শিক্ষা আর সংস্কৃতির পীঠস্থান। পর্যটন ক্ষেত্রেও এই জায়গায় রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এবং গোবিন্দপুর শেফালী সমাজ সেবা সমিতি, স্বাধীন ট্রাষ্ট, স্বতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও আরো বেশ কিছু সংস্থার প্রচেষ্টায় “শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরী” গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা ২০২৭ এর মধ্যেই রূপ পাবে।
আজ শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাকক্ষে “শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরী” গড়ে তোলার উদ্যোগ ও মহিলাদের entrepreneur হিসাবে গড়ে তুলতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এদিনের সভায় সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ মলয় পীট সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার জন্য তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি ডঃ মলয় পীট বলেন যে, সামাজিক ও মানব সম্পদের উন্নয়নের জন্য আমরা ২০২৭ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করতে বদ্ধপরিকর।
পাশাপাশি একটি মহিলা হসপিটাল নির্মাণ করা হবে এখানে ।যেখানে সিকিউরিটি থেকে শুরু করে সমস্ত ডাক্তার, নার্স, আয়া মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দপ্তরের দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা। এই হসপিটালে সম্পূর্ণভাবে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ডক্টর মলয়পিট। উনার উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষজন। খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে এই হসপিটালের কাজ বলে তিনি জানান।।
এখানে KG থেকে PG বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। তাছাড়াও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে ও সহযোগিতায় এলাকার মহিলাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে entrepreneur করে এগিয়ে নিয়ে আসার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে ৩০০টির মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে, তাদের সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকানা সুনিশ্চিত করে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা সৃষ্টি করা হবে।
বোলপুর থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।