শিল্পের বিরোধিতা করছি না, আদিবাসী সংস্কৃতি, ভাষা,পরম্পরা তার বিরোধিতা করছি- পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বীরভূমের দেউচা পাচামিতে কয়লা খনি নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে।মধ্যেখানে কিছুটা স্থিমিত হলেও আবার আন্দোলনের পথে কয়লা খনি বিরোধিতায় আদিবাসী সম্প্রদায় সংগঠন। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেউচা পাচামীর কোল ব্লকের কাজের অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এক ভার্চুয়ালি সভা থেকে। পরের দিনেই রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ কে এলাকা পরিদর্শনে সরজমিনে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন কিছুদিনের মধ্যেই কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেই কথার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আন্দোলনে পথে কয়লা খনি বন্ধের দাবিতে। সেই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ রাজ্য কমিটির ডাকে শুক্রবার বীরভূম জেলাশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ডেউচা-পাচামী খোলা মুখ কয়লা খনি বন্ধের দাবিতে। এদিন ধামসা মাদল ও দলীয় পতাকা সহকারে এক বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে সংগঠনের কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন।এদিন তাদের দাবি সমূহের মধ্যে ছিল আদিবাসীদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের উচ্ছেদ করে দেউচা পাচামিতে খোলা মুখ কয়লা খনি করা যাবে না। ডেউচা- পাঁচামি এলাকায় গাছপালা জঙ্গল কেটে আদিবাসীদের জল জমি জঙ্গলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। বীরভূম জেলায় জলস্তর বাচাতে নদী গর্ভ থেকে অবৈধ বালিতলা ও খোলা মুখ কয়লা খনি বন্ধ করতে হবে ।অবিলম্বে আদিবাসীদের জমি রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক ডাক্তার কুলীনবিহারী বাস্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন ডেউচা পাচামি খোলা মুখ কয়লা খনি বন্ধ করতে হবে। নাহলে আমাদের সংস্কৃতি পরম্পরা তথা আদিবাসীদের যা কিছু আছে সব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আমরা শিল্পের বিরোধিতা করছি না আদিবাসীদের সংস্কৃতি,ভাষা,পরম্পরা তার বিরোধিতা করছি। আমরা শিল্প হতে বাধা দিচ্ছি না। জেলার মধ্যে কি শুধু সেখানেই কয়লা আছে, আর কোথাও নেই। সর্বত্র কয়লা রয়েছে তবুও সেই আদিবাসীদের উপর নজর। সেখানে পাথর ভাঙ্গার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার করা শুরু হয়েছে। আদিবাসী মানুষদেরকে ঠোকানো হচ্ছে,তো কাউকে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। আজকে মূলতঃ জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে যাতে দেওচা -পাচামি খোলা মুখ কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল করা হয়।