শিশুদের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হলো নতুন পোশাক
মনিষা ধোঁক
গরীব ঘরের সদ্যোজাত ফুটফুটে শিশু পৃথিবীতে আসার পর চোখ মিলে তাকিয়ে দেখে ধবধবে সাদা পোশাকের পরিবর্তে তার পরনে রয়েছে একটা নোংরা পোশাক। প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নাই। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বোঝার ক্ষমতা তার নাই। তাই হয়তো হতাশায় চোখ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি বিশেষ প্রভাব ফেলে দুর্গাপুরের বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কবিতা চৌধুরীর মনে। ই.এস.আই হাসপাতালে কর্মরত ডা. চৌধুরীর হাত ধরেই বহু শিশু এই সুন্দর পৃথিবীতে পা রাখে। তাদের জন্য কিছু করার ভাবনা মাথায় আসে তার।
গত ১৪ ই জুলাই এলাকার সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'উত্তিষ্ঠত জাগ্রত ও জাগো নারী'-র সহ-সভাপতি ডা. কবিতা চৌধুরীর উদ্যোগে সংস্থার পক্ষ থেকে দুর্গাপুরের ই.এস.আই হাসপাতালের সুপার ডা. দীপাঞ্জন বক্সীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সদ্যোজাতকদের জন্য ২০০ জোড়া নতুন ধবধবে সাদা পোশাক। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও অন্তত কয়েকজন গরীব ঘরের সদ্যোজাত শিশু নতুন পোশাক পাবে।
তখন ওখানে উপস্থিত ছিলেন ডা. চৌধুরীর স্বামী তথা সংস্থার সভাপতি ডা. উদয়ন চৌধুরী। প্রসঙ্গত, বিশিষ্ট অস্থি বিশেষজ্ঞ ডা. উদয়ন চৌধুরী শুধু ডাক্তার হিসাবে নয় একজন সমাজসেবী হিসাবেও এলাকায় সুপরিচিত। মূলত এদের প্রচেষ্টায় বেশ কিছু শিশু শিক্ষার আলো পাচ্ছে।
ডা. চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে হাসপাতালের সুপার বললেন - সত্যিই খুব ভাল উদ্যোগ। আশাকরি এরপর হয়তো আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন।
অন্যদিকে ডা. চৌধুরী বললেন - আমার প্রথম পরিচয় আমি একজন মা। আমারও সন্তান আছে। ডাক্তার হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে দেখি নতুন পোশাকের পরিবর্তে গরীব বাড়ির সদ্যোজাতদের শরীরে তুলে দেওয়া হচ্ছে পুরনো পোশাক। বিষয়টি মনের মধ্যে দাগ কাটে। তাই আমার ডাক্তার স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে এই নতুন পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। মা হিসাবে মনের দিক থেকে আজ আমি কিছুটা তৃপ্ত।