শুভেন্দুর কোলাঘাট অফিসে অভিযান মামলায় স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশের তল্লাশি মামলায় কোলাঘাট থানাকে তল্লাশি তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন -‘ আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত এফআইআর এর উপর কোনও পদক্ষেপ নয় পুলিশের’। এই মামলার পরবর্তি শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১১ জুন।এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, ‘১ এপ্রিল ২০২২ লিজ চুক্তি অনুযায়ী ওই অফিসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই শুভেন্দু অধিকারীর। লিজ চুক্তি অনুযায়ী ওখানে গড়াই পরিবারের সঙ্গে দাস পরিবারের চুক্তি হয়েছে।’মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান , ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অফিসে পৌঁছে গেল কেন পুলিশ? কার অফিস? কে থাকে? টাকা আছে কিনা তার অনুসন্ধান না করেই পুলিশ পৌঁছে গেল তল্লাশি করতে? রাজ্যে কতগুলো ঘটনায় পুলিশ এভাবে পৌঁছে যায় তল্লাশিতে?’অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানান , ‘২০শে মে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোলাঘাটের অফিসে তথা অস্থায়ী বাড়িতে পুলিশ হাজির হয়। স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, -‘ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ওই অফিসে বোমা অস্ত্র এবং নগদ টাকা মজুত করা হয়েছিল। যদিও ওই অফিস থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।’রাজ্যের আইনজীবী জানান , ‘এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। যে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেটি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি নয়। জনৈক সুরজিৎ দাস নামক ব্যক্তির সম্পত্তি। অভিযোগ আসলে পুলিশ কি সেটা খতিয়ে দেখবে না?’রাজ্যের তরফে এও দাবি করা হয়, ‘পুলিশকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঘর তালাবন্ধ ছিল। পুলিশ সেখানে ঢুকতে না পেরে ফেরত চলে এসেছে। এটা যে তার বাড়ি বা পার্টি অফিস সেই নথি কোথায়? -। কাল তো শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের যে কোনও বাড়িকেই তাঁর বাড়ি বলে দাবি করতে পারেন।’ এক্ষেত্রে পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাই পুলিশের পক্ষে কিছু বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়নি বলেও দাবি রাজ্যের।আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ জুন পরবর্তী শুনানি।এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন -‘ অভিযোগ পেয়েই কি পুলিশ চলে গেল? অনুসন্ধান করবে না? কটি ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ পেয়েই চলে যায়?’ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ওই মামলার পুলিশি তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।আগামী ১১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।