শেঠ বংশীধর জালান স্মৃতি মন্দিরে দেব দীপাবলি উদযাপন
শত শত মানুষের ভিড় জমে উঠেছিল গঙ্গা আরতির অভিজ্ঞতার জন্য, যা তাদের কাছে হরিদ্বারের মতই অনুভূত হয়েছিল যেখানে দেব দীপাবলি সমান জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়। ১৫ নভেম্বর, ২০২৪-এ ৭২ বছর বয়সী শেঠ বংশীধর জালান স্মৃতি মন্দির, যা বঙ্গেশ্বর মহাদেব মন্দির নামেও পরিচিত, তার আঙিনায় যখন অংশগ্রহণকারীরা প্রার্থনা পাঠ করছিলেন, তখন পরিবেশ পূণ্যভরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল।
এই বছরও মন্দির কমিটি, স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী মুনি জি-র সহায়তায় ২০২৩ সালের পর দ্বিতীয়বার দেব দীপাবলি কলকাতায় নিয়ে এসেছে। রিষিকেশের পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের নেতা, দেব দীপাবলির চেতনা প্রসারে বিখ্যাত স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী মুনি জি-র উপস্থিতি এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের প্রতিফলন ঘটায়। পরমার্থ নিকেতনের গঙ্গা আরতির মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য, এবার কলকাতার বন্দঘাটে গঙ্গার তীরে অনুরণিত হয়েছে। জালান পরিবার নির্মিত ৬১ ফুট উচ্চ শিবমূর্তিটি, যা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ২০১৫ সালে উন্মোচন করেছিলেন, সেই মন্দির প্রাঙ্গণে এবারও দর্শকদের আবেগকে আকর্ষণ করেছিল। মন্দিরের ট্রাস্টি এবং কলকাতায় গ্রিসের কনসাল জেনারেল সুধীর জালান বলেন, “আমরা আনন্দিত যে দেব দীপাবলি উদযাপনটি এখানে আয়োজন করতে পেরে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারছি। স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী মুনি জি-এর নেতৃত্বে গঙ্গা আরতি এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল।”
স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী মুনি জি-র উপস্থিতি এই মুহূর্তের গুরুত্বকে আরো গভীর করেছে, যা আমাদের মন্দির এবং শহরের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শেঠ বংশীধর জালান স্মৃতি মন্দিরে হাজার হাজার প্রদীপ গঙ্গা নদীকে আলোকিত করে এক অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যা অন্ধকারের ওপর আলোর বিজয়ের প্রতীক। স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী মুনি জি-এর নেতৃত্বে গঙ্গা আরতি দর্শকদের জন্য এক গভীর অনুভূতি এনে দিয়েছে, যা পবিত্র গঙ্গার স্রোতের মধ্যে দেবত্মার প্রতিফলন ঘটায়। ছবি সুবল সাহা