খায়রুল আনাম,
সংযুক্ত মোর্চা ময়ূরেশ্বরে প্রার্থী ঘোষণা না করায় সঙ্কটে কর্মীরা
এ এক চরম সঙ্কট। জেলা বীরভূমের ময়ূরেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্য বিধানসভা কেন্দ্রেগুলির জন্য সংযুক্ত মোর্চা তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করায়, সেইসব কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা প্রচারে নেমে পড়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে ময়ূরেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে। জেলার ১১ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে নানুর, লাভপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট- এই চারটি আসন পেয়েছে সিপিএম। মুরারই, হাঁসন এবং সিউড়ি-এই তিনটি আসন দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। দুবরাজপুর এবং নলহাটি-এই দু’টি আসন পেয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক। আর বোলপুর আসনটি পেয়েছে আরএসপি। এই সব আসনগুলিতে প্রার্থী ঘোষিত হওয়ায় প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। সংযুক্ত মোর্চার শরীক আইএসএফ-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ময়ূরেশ্বর আসনটি। কিন্তু এই আসনের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি আইএসএফ। বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে। আর তৃণমূল কংগ্রেস এখানে পুনরায় প্রার্থী করেছে বিদায়ী বিধায়ক ২০১৬ সালে জয়ী অভিজিৎ রায়কে। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে। ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লকের ৯টি ও ময়ূরেশ্বর-২ নম্বর ব্লকের ৭টি- মোট ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ময়ূরেশ্বর বিধানসভায় এক সময় বাম শরীক সিপিএমের প্রভাব ছিলো সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে এখানে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিজিৎ রায়। বামেরা চলে যায় অনেকটা পিছনে। কিন্তু পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপি এমনই চমকপ্রদ ফল করে যে, তৃণমূল কংগ্রেসকে তারা পিছনে ফেলে দিয়ে এক নম্বরে উঠে আসে। সেই আসনেই এবার বিজেপি তাদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে প্রার্থী করে এই আসনে তাদের জয় সুনিশ্চিত করতে চাইছে। এই রকম একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক আসনটি সিপিএম জোটধর্ম মেনে ছেড়ে দিয়েছে সংযুক্ত মোর্চার শরীক আইএসএফকে। আর সেই কেন্দ্রে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে এগিয়ে গেলেও এখনও প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারলো না আইএসএফ। এখানে ভোটে আইএসএফকে ভোট করতে হবে তাদের শরীক বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের উপরে নির্ভর করে। আইএসএফ-এর ময়ূরেশ্বর বিধানসভার আহ্বায়ক শেখ জসিমউদ্দিন এখনও বলছেন, তাঁদের প্রার্থী ঠিক হলেও নাম ঘোষণা হতে আরও কয়েকটা দিন সময় লাগবে। আর সেই প্রেক্ষিতে বাম ও কংগ্রেসকে এখন শুধুমাত্র প্রার্থীর নাম ছাড়াই দেওয়াল দখল করে বসে থাকতে হচ্ছে। যা নিয়ে বাম এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও অসন্তোষ ও হতাশা বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে ।।