সংস্কৃতি চর্চার সাথে সাথেই বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান সারেঙ্গায়।
শুভদীপ ঋজু মণ্ডল, জঙ্গলমহল বাঁকুড়া।:——বাঁকুড়া জেলার সংস্কৃতি ও সংগীত চর্চার পীঠস্থান বিষ্ণুপুর বর্তমানে এই চর্চা ছড়িয়ে পড়েছে সারা জেলার সাথে সাথে জঙ্গলমহলের সারেঙ্গাতেও। আর সারেঙ্গা ব্লকের সাংস্কৃতিক চিন্তা – চেতনা বহন করে চলেছেন সারেঙ্গা মিউজিক কলেজ। সারেঙ্গা মিউজিক কলেজে মূলত নৃত্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রবীন্দ্র, নজরুল, ভরতনাট্যম, লোকনৃত্য ও আধুনিক সৃজনশীল নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।তাছাড়াও সংগীত, আবৃত্তি ও অঙ্কন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এলাকার সুকুমারমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনমুখী করে গড়ে তোলার জন্য এবং সামাজিক চিন্তা চেতনার মধ্যে সমাজ মনস্ক করে তোলার জন্য সারেঙ্গা মিউজিক কলেজ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা , স্বাস্থ্য ও সমাজ সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
আজ 28/0 9 /2023, বৃহস্পতিবার, সারেঙ্গা বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারেঙ্গা মিউজিক কলেজের বার্ষিক ক্রীয়াত্মক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী রুমা চ্যাটার্জি । আর এই মঞ্চ থেকেই হাতিয়ার করে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে একটি গাছ একটি প্রাণ স্লোগানে সারেঙ্গা মিউজিক কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃক্ষ রোপণে উৎসাহ প্রদানে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ফলের চারা গাছ তুলে দিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শ্রীমতি জবা দত্ত বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী তথা সারেঙ্গা মিউজিক কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ শ্রী শ্রীকান্ত লোহার, বিশিষ্ট শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল গাছ দাদু হিসেবে পরিচিত শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবেশপ্রেমী তথা বিশিষ্ট শিক্ষক পার্থ সারথি সুরাল আসিস পাল সহ বিশিষ্ট মানুষজন। কলেজের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়
যত্নপূর্বক গাছটি বড় করার পর প্রতিবছর ছবি জমা দিলে পরীক্ষার সময় বিশেষ পুরস্কার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই পুরস্কার প্রদানে এগিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক “শিক্ষারত্ন” পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী সাধন কুমার মন্ডল , বাঁকুড়া জেলার গাছ দাদু শ্রী শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় , পরিবেশ প্রেমী তথা বিশিষ্ট শিক্ষক পার্থসারথি সূরাল,দ্য গ্লোবাল গ্রীন ফোর্স এর রাজ্য সভাপতি শ্রী আশিস পাল। এছাড়া
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষা শ্রীমতি শিল্পী ঘোষ সুরাল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ঘোষণা করেন। একজন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবছর একটি করে গাছ রোপণ করলে পৃথিবীতে বৃক্ষের অভাব হবে না। এবং উষ্ণায়নের হাত থেকে জীবজগৎ বাঁচবে, আমাদের শুধু একটু যত্ন নেওয়া এবং অপ্রয়োজনে গাছ কাটা বন্ধ করা । এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিকভাবে সচেতন করার জন্যই এই বিশেষ অনুষ্ঠান। এই কাজে অভিভাবক – অভিভাবিকাদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই ফলের চারাবিলি অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক -অভিভাবিকাদের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় । আগামী দিনে অনেক অভিভাবক অভিভাবিকা গাছের চারা রোপন করবেন বলে আশ্বাস দেন এবং শুধু রোপণ নয় তাকে বড় করে তোলার অঙ্গীকার করেন।সকলকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।