সংহতি দিবসে সম্প্রীতির নজির গড়লেন আজগার আলি পল্টু
কেউ রামের পুজো করেন কেউ আল্লাহ্-র। আমার কোনও আপত্তি নেই।’ এ’কথা মানেন ও বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে বাঁচাতে হলে, সর্বধর্ম সমন্বয়কে বাঁচাতে হলে, সব ধর্মের মানুষকে বাঁচাতে হলে, বাংলার মানুষকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও একাধিক জায়গায় জানিয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ভাঙা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। তার পর থেকেই ওই দিনটি ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করা শুরু করেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন ক্ষমতাসীন। এখনও বাংলা জুড়ে দিতে চান একই সম্প্রীতির বার্তা। দিনটাকে স্মরণ করে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হলদিয়া শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে হলদিয়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা ও প্রাক্তন উপপুরপ্রধান আজগর আলি পল্টু। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সংহতি দিবসে তিনি দেখালেন সম্প্রীতির পদযাত্রা। যেখানে হিন্দু-মুসলিম-শিখ-জৈন-খ্রিস্টান সহ অন্য সব ধর্মের মানুষই আজগার আলি পল্টুর ডাকে সাড়া দিয়ে সম্প্রীতির পদযাত্রায় যোগ দেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন স্মরণীয় করে রাখতে একাধিক হিন্দু সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে রানি রাসমণি রোডে সভা করে শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। পালিত হয়েছে শৌর্য দিবস। যেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বার্তা দেন এখনই হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে আগামীতে বঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেখানে আজগর আলি পল্টুরা হাঁটলেন উল্টোপথেই। বোঝালেন, বাংলায় সম্প্রীতির কোনও বিকল্প নেই। আজগর আলি পল্টু সমাবেশে বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকারের ধারা মেনেই সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।’ এর বিরুদ্ধে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। রাজ্যে হিন্দু মেরুকরণে যখন রাজনীতি চলছে, তখন সম্প্রীতির বার্তায় সবাইকে এক জায়গায় এনে নতুন দৃষ্টান্ত রাখলেন আজগর আলি পল্টু।