সুরজ প্রসাদ
করোনার থাবায় নিহত সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
শহর বর্ধমানে কোভিড কেড়ে নিলো আর একজন পরিচিত তৃণমূল নেতাকে।তিনি দলের বাইরেও সুপরিচিত ছিলেন ভদ্রলোক এবং বক্তা হিসেবে।প্রয়াত এই নেতার নাম নারায়ণ হাজরা চৌধুরী(৬৭)। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।বর্তমান পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তার মৃত্যতে শোকের ছায়া দলে সহ পরিচিতমহলে। গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয় বর্ধমানের একমাত্র কোভিড হাসপাতাল ক্যামরীতে।জানা গেছে ;তিনি কিছুটা ভাল হয়ে উঠেছিলেন। হঠাৎ অক্সিজেন লেভেলের অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি। শুক্রবার তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন দলের জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ; সভাধিপতি শম্পা ধারা ; উজ্জ্বল প্রামাণিক ; খোকন দাস সহ দলের নেতারা। কোভিড সংক্রমণের মধ্যপর্বে আর একজন পুরনো নেতা সমীর রায় মারা গেছেন। এদিন তার পুত্র অনির্বাণ হাজরা চৌধুরী জানান; একটি সভায় যাবার পর থেকেই তিনি ও তার কয়েকজন সহকর্মী অসুস্থ হন। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় ছিলেন।নবমীতে পজিটিভ রিপোর্ট আসায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হন। গত দুদিনে তার অবস্থার অবনতি হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় আর কিছু করা গেলোনা। অন্যদিকে স্বপন দেবনাথ জানান; নারায়ণ হাজরা চৌধুরী দলের পুরনো কর্মী। তিনি তার মতই ছাত্র রাজনীতি থেকেই উঠে এসেছেন। সুবক্তা ছিলেন। কর্মাধ্যক্ষ হিসেবেও দক্ষতার ছাপ রেখে গেছেন।তার মৃত্যু অপুরণীয় ক্ষতি।দল পরিবারের সকলকে সমবেদনা জানাচ্ছে।নারায়ণ হাজরা চৌধুরী সাতের এবং আটের দশকে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।বক্তা হিসেবে সুনাম ছিল। ভাল ব্যাবহার তাকে জনপ্রিয় করেছিলো।তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই দলে ছিলেন।একবার বিধানসভায় তার জন্মস্থান মন্তেশ্বর থেকে প্রার্থীও হন।জিততে পারেন নি।তৃণমূল জেলা পরিষদে জিতলে তিনি অভিভক্ত জেলার তথ্য সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।জেলা ভাগ হলে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব পান।তার মৃত্যুতে শহরের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।এর মধ্যে আছেন সংস্কৃতি কর্মী সমাপ্তিকা মন্ডল; লেখক সৌম্য বন্দোপাধ্যায় ; সমাজসেবী পল্লব দাস; ব্যবসায়ী শান্তনু পাঁজা সহ আরো অনেকে।দলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন; অপুরণীয় ক্ষতি হল।উনি অভিভাবকের মত ছিলেন।