সরকারি অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠান,কাঁকড়তলা থানায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
দিন কয়েক পরেই অনুষ্ঠিত হবে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। এনিয়ে চারিদিকে চলছে সাজো সাজো রব। মন্ডপ তৈরী থেকে শুরু করে আনুসঙ্গিক সমস্ত কাজ গোছানোর ব্যস্ততা লক্ষনীয়। নতুন পোশাক কিনতে দোকানের মধ্যে বা হাটে বাজারেও ভীষণ ভীড়। তবে বৃষ্টি কিন্তু পিছু ছাড়ছে নারাজ। যার ফলে বাজারে কেনাবেচার ক্ষেত্রে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত। তবে বৃষ্টি হলেও দুর্গোৎসবের দিন ঘনিয়ে আসছে ফলে পুজোর অবশিষ্ট কাজকর্ম শেষ করে ফেলতে সকলেই ব্যাক্তি ব্যস্ত। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক দুর্গোৎসব কমিটিকে একলক্ষ দশ হাজার টাকার চেক প্রদান নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। যদি হাইকোর্টের রায়ে অনুদান বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু না আপাতত সমস্ত বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে রাজ্য সরকার কর্তৃক চেক প্রদান কর্মসূচী শুরু হয়ে গেছে রাজ্যের সর্বত্র। সেরূপ শুক্রবার খয়রাসোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার আয়োজনে স্থানীয় থানার সভাকক্ষে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার ২৪ টি সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটির সদস্যদের হাতে চেক প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য এবছর অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে এক লাখ দশ টাকা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর শুভাশীষ হালদার, কাঁকড়তলা থানার ও সি মহম্মদ সাকিব সাহাব,এস আই আব্দুল হাই, শিক্ষক উজ্জ্বল হক কাদেরী, সমাজসেবী মৃণাল কান্তি ঘোষ সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ । চেক প্রদানের সাথে সাথেই সরকারি বিধি নিষেধ তথা নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রেখে দুর্গোৎসব পালনের বার্তা এদিন ফের একবার ঝালাই করে দেন। যেমন ডি জে বক্স না বাজানো,মদ্যপ অবস্থায় মন্ডপে না যাওয়া,উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করা,সি সি ক্যামেরা লাগানো, মন্ডপে আসা যাওয়ার জন্য পৃথক পৃথক রাস্তার ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দেওয়া সহ অন্যান্য বিষয়গুলিকে অবগত করেন। চেক হাতে পেয়ে স্বভাবতই বেজায় খুশি পুজো উদ্যোক্তারা।