সরলরৈখিক গতিতে চাকার ঘূর্ণন
মালা মুখোপাধ্যায় (কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান)
যাচ্ছে সবাই সুপার ফাস্ট ধরে । তবে মাঝে মাঝে বেশ দাঁড়ায়। দূরপাল্লার কিনা। কখনো কখনো ধীরে ধীরে। কখনো হনহনিয়ে।
বাইরের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে চলেছি সামনে।
আর সরে সরে যাচ্ছে একটার পর পর একটা জমি ,কেউ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা,কেউ রুখু শুকু উঁচু নীচু,সরে যাচ্ছে বাবুদের হিমসাগর বাগান।
বড় বড় পুকুর। নদী নালা।বড় বড় শহর, শহুরে সভ্যতা। সব সব পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি।
ওহে শশীকান্ত ,জানোই তো
নতুন বছরে পা দিতে চলেছি।
নতুনভাবে শুরু টুরু হবে নাকি
না সরলরৈখিক গতিতে চাকার ঘুর্ণন চলতেই থাকবে ….?
থাকবে তো বটেই
খণ্ডাবে বিধাতা
কথা তো দেয়নি।
শুনতে কি পাচ্ছো ? শশীকান্ত ?
অতীত ফেলে চলে যাচ্ছি….!
চলে তো যাচ্ছিই…!
কিন্তু
বাদ পড়ছে কি “নয় কুঠুরির ছয় দরজা ” থেকে?
বানালাম তো শক্ত ভীতের গাঁথুনি ভেবে।
যা হবার তাই হলো।
ভেঙে পড়লো পাঁচ মাথার মোড়ে।
ট্রেন তো ঠিক সময়েই যাবে বলে নোটিশ দিয়েছে।
শুধু নিজের নিজের স্টেশন চিনে নেওয়ার দায়িত্বটা আমাদেরই ….!
তবে তাই হোক শশীকান্ত, এগিয়ে চলি নতুন স্টেশনের দিকে…..