মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
‘লাভ জেহাদ’ নিয়ে যখন উত্তর ভারত সরগরম, ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ জানালো – ‘ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা তারা নিজের ইচ্ছায় ভিন ধর্মে বিবাহ করতে পারেন, স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হতে পারেন। এই বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারেনা’। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ – ‘ ভিন ধর্মে বিবাহিতা মেয়ে যদি বাবার বাড়িতে ফিরতে না চান, তাকে কেউ জোর করতে পারেনা’। ঘটনার সুত্রপাত নদীয়ার তেহট্টে এক সাবালিকা বিবাহিতা মহিলার বাবার দায়ের করা মামলায় শুনানিতে। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। সেখানে মামলার আবেদনকারী এক ব্যক্তি দাখিল হওয়া পিটিশনে জানান – ‘ তার মেয়ে ১৯ বছরের মেয়ে কে এক ব্যক্তি ( জামাই) ফুঁসলিয়ে অপহরণ করেছে’। তাই তার মেয়ে কে ফিরিয়ে দেওয়া হোক তার বাড়িতে। যদিও এই ঘটনায় নদীয়ার নিম্ন আদালতে মামলা চলছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে মেয়েটি গোপনজবানবন্দিও দিয়েছেন। তাতে কোন সূরাহা ( মেয়ে কে ফিরে না পাওয়া) না হওয়ায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের মাধ্যমে মামলা দাখিল করেন। এই মামলার আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল-জবাব চলে। সেখানে দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ – ‘প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা তার নিজের ইচ্ছায় ভিন ধর্মে বিয়ে করতে পারেন। আবার স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হতে পারেন। এই বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারেনা। ভিন ধর্মে বিবাহিতা মহিলা যদি বাবার বাড়িতে ফিরতে না চান তাকে কেউ জোর করতে পারেনা’। অর্থাৎ মামলার আবেদনকারী ওই ব্যক্তির আবেদনটি একপ্রকার খারিজ হলো বলা যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সরকারি কৌসুলি শৈবাল বাপুলি কে ওই বিবাহিতা মহিলার সাথে তার অবস্থান জানতে কথা বলার নির্দেশ দেয়।