সারেঙ্গার ব্রাহ্মণড়িহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

Spread the love

সারেঙ্গার ব্রাহ্মণড়িহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

সাধন মন্ডল বাঁকুড়া,
সারেঙ্গা চকলেট নেতুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার রাওতের রাউত এর অবসরকালীন বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হলো বৃহস্পতিবার চৌঠা সেপ্টেম্বর। শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে এই অনুষ্ঠান এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। সকাল থেকেই নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সূচনা হয় অনুষ্ঠান মঞ্চে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজন তাদের গান নাচ পরিবেশন করে সকাল থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সাজু সাজু রং ছিল সেখানে উল্লেখ্য বিদ্যালয় সন্নিকটে রয়েছে একটি প্রতি প্রাচীন শিবমন্দির তার সংলগ্ন মাঠে মূল মন্ত্র কথা হয়েছিল। এই বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে ব্রাহ্মণডিহা, পাথর বাঁন্দী, লালবাজার গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে অরন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কারণ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে গ্রামের সমস্ত মানুষের মধ্যাহ্নের ব্যবস্থা ছিল বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রায় দুই হাজার মানুষ দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। একজন প্রাথমিক শিক্ষকের এই রাজকীয় বিদায় সম্বর্ধনা এলাকার দৃষ্টান্ত । বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সারেঙ্গা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সোনালী মুর্মু, জামবনী উচ্চ বিদ্যালয় এর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মানস মহান্তি, সারেঙ্গা পিটিটিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাধন মহান্তি, সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ মন্ডল। জেলা পরিষদ সদস্যা সুপর্ণা মন্ডল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু লোহার ,অবসরপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষক সুভাষ মাইতি, স্বপন মন্ডল কুসুম ঠিকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস মহান্তি সহ ব্লক এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। ব্যান্ড পার্টি সহ ঘোড়ার গাড়িতে চাপিয়ে শিক্ষক মশাই কে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়। তারপর তাকে তার বাড়িতে বাদ্যযন্ত্র সহকারে পৌঁছে দেওয়াহয়। আর বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে শিশুদের চোখে জল তারা তাদের প্রিয় হেড স্যারকে আর বিদ্যালয়ে পাবে না। এ প্রশ্নের উত্তরে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক অজয় রাউত বলেন আমার প্রাণপ্রিয় ছাত্রছাত্রীদের ছেড়ে যেতে মন চাইছে না কিন্তু সরকারি নিয়মে একদিন চাকরি থেকে অবসর নিতেই হবে তাই আজ থেকে চার দিন আগে আমি অবসর নিয়েছি বিদ্যালয়ের গ্রামবাসীদেরপক্ষ থেকে আজ বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানস মহান্তি বলেন আজকের এই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এলাকার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে একজন প্রাথমিক শিক্ষক কত ভালো ও বড় মনের মানুষ ছিলেন আজ এখানে ২০০০ এরও বেশি মানুষ হাজির হয়েছেন। আমরা এই শিব মন্দির প্রাঙ্গনে গাজন দেখতে আসি। আজ মনে হচ্ছে এটা দ্বিতীয় গাজন উৎসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *