কাজল মিত্র :-সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত জিৎপুর উত্তরামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের জিৎপুর রায়পাড়া থেকে চিত্তরঞ্জন যাবার প্রধান রাস্তা বেহাল, কয়েক বছর ধরে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে সেতুটি।সমস্যায় গ্রামের মানুষ।
হিন্দুস্থান কেবলস এর সীমান্ত দিয়ে চিত্তরঞ্জন ও জিতপুর এর মাঝ বরাবর বয়ে গেছে একটি বিল যা গিয়ে অজয় নদীতে মিশেছে।আর এই বিলের একদিকে রয়েছে জিতপুর রায়পারা অন্যদিকে কেসিয়া ও চিত্তরঞ্জন আর সেইসব মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা ছিল একটি সেতু। কিন্তু হিন্দুস্তান কেবেলস কারখানা বন্ধ হওয়ার পর এই সেতুটির কোন সংস্কার না হবার ফলে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভেঙ্গে পড়েছে ।যার কারনে এলাকাবাসীর যাতায়াতের ভীষন সমস্যা হয় পড়েছে । রাস্তার উপরের ইটগুলো উঠে গিয়ে উধাও হয়ে গেছে। সড়কের মাটিও সরে বিলে গিয়ে পড়েছে।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক গ্রামের হাজারও মানুষ।সেতুটি ভেঙ্গে যাবার পর থেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয় উঠেছে । কেবল মাত্র পায়ে হেঁটে ছাড়া কোন যান চলাচল করেনা এর রাস্তা দিয়ে ।
গ্রামের বহু ছাত্র ছাত্রীদের এই রাস্তা দিয়েই কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয় ।একটু বৃষ্টি হলেই দশ কিলোমিটার ঘুরপথে তাদের স্কুল যেতে হয়।
গ্রামের এক বাসিন্দা মধুসূদন রায় জানান এই সংযোগ কারি সেতুটি বেহাল হওয়ায় কয়েক বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে মানুষ কোনোমতে পায়ে হেঁটে চলাচল করলেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় গ্রামের হাজারও ব্যাবসায়ী,থেকে দিনমজুর,কৃষক তাদের যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। শতশত শিক্ষার্থীর শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।
স্কুলের ছাত্রী জয়ন্তী রায় ও পূজা রায় রা জানান তারা এই রাস্তা দিয়েই কষ্ট করে তাদের গ্রাম থেকে পড়াশুনার জন্যে পাঁচ কিলোমিটার দূরে চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি স্কুলে পড়তে যেতে হয় ,তবে একটু বৃষ্টি হলেই প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরপথে তাদের যাতায়াত করতে হয়। যার কারণে স্কুলে দেরিতে পৌঁছায়।তাই তাদের যাতায়াত করতে ভীষণ সমস্যা হয়ে পড়ে।
সকলে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে এই রাস্তাটি দ্রুত তৈরি করা হলে তাদের সমস্যার সমাধান হয়ে পড়বে। তবে এই বিষয়ে জিতপুর উত্তরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান সুরজিৎ মোদক জানিয়েছেন যে কিছুদিন আগে বিধায়কের নির্দেশে রাস্তাটিকে মেরামতের কাজ করা হয়েছিল পুনরায় বর্ষা হওয়ার ফলে রাস্তাটি আবার খারাপ হয়ে যায়। তবে রাস্তাটি ও সেতুটি শীঘ্রই দুটি ধাপে তৈরি করা হবে। যার টেন্ডার এর কাজ চালু করা হয়ছে ।