দীপঙ্কর চক্রবর্তী (সম্পাদক পিলসুজ পত্রিকা)
ইংরাজী নববর্ষ শুক্রবার ২০২১ কে স্বাগত জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার সালারের কাগ্রামে নীলকন্ঠ সাংস্কৃতিক সংস্হার সাহিত্য পত্রিকা কঙ্কনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল সারাদিনের সাহিত্য বাসর।সকালের ঝলমলে রোদ গায়ে মেখে,ঘাসের আস্তরনের উপর পা ছড়িয়ে বসে এক ঝাঁক কবি, লেখক,গায়ক,সংগঠক।সকালের প্রাতরাশ ঘরে হাতে ভাজা সুস্বাদু মুড়ি ও সুগন্ধ ছড়ান ঘুগনী।এর পরই সভাস্হলের চারিদিকের জমিতে হলুদ সর্ষে ফুল,কোনটায় বেগুন,কপি এইসব ফসলের জমিতে দৌড়ে গিয়ে ছবি তোলা,ঘুরে দেখায় ব্যাস্ত হয়ে পরলেন নবদ্বীপের কবি গায়ক সুরশিক সুশান্ত মিত্র,চড়ব্রন্মনগড়ের বিশ্বজিত চৌধুরী,নিমতলার নিমাই দেবনাথ,বড় কাইবাতির সুদীপ্ত পাল,কাটোয়ার পল্লব চ্যাটার্জী ও গবেশক তাপস বন্দোপাধ্যায়।ইতিমধ্যে সভাস্হলে স্হানীয় ও বিরাগত আরো অনেক কবি লেখক গয়ক এসে হাজির হলেন।আয়োজক বরুন ব্যানার্জী,বরুন সাহা,পত্রিকা শুভেন্দু দত্তরা শুরু করলেন পারুলিয়ার কবি সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী সুরেলা কন্ঠে রবীঠাকুরের একটি গান দিয়ে,, গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভূবন খানি,,। এর পর কবি সভা জমে উঠলো গানে কবিতা পাঠে,স্মৃতিকথায়,গল্পে,আড্ডায়।ওদিকে পাশেই দুপুরের সবার আহারের আয়োজন চলছে জোরকদমে।যেন মনে হচ্ছে আমরা রয়েছি মুকুটমনিপুর বা দীঘা,মন্দারমনি বা কংসাবতী,রুপনারায়নপুরের ঘাটে।মন্চে সভসপতি আব্দুল রফিক খান,তারাচরণ ঘোষাল,স্বরুপ মালাকার,সহ আরো অনেকে বলছেন কবিতা।চলছে মাটির গানও।এর পর দুপুরের আহার।তারপরও চলল আরো কিছুক্ষন সভা।আমরা সাতজন চললাম অজানার উদ্যেশে পারি দিয়ে একটি টোটো যানে হাসি,গল্পের ফুলঝুরি উড়িয়ে উদ্ধারণপুর নদীর ঘাটে,বাঁপাশে অবধূত এর মূর্তীর পাশ দিয়ে নদীর বক্ষে।পরন্ত বিকেলে ভাগিরথী আর ডানদিকে স্রোতসিনী অজয় কখন মাঝখানে একাকার হয়ে গেল।সূর্য ডোবাকে পরখ করতে করতে কখন এসে নামলাম কাটোয়ার ঘাটে মহাপ্রভুর দীক্ষা গ্রহনের জায়গায়।এইসব মনে ভাবতে ভাবতে আর চারিদিকদেখতে দেখতে সারাদিনের ক্লান্তি যেন দূর হয়ে গেল ঘরে ফিরে।